প্রথম সোনা বিন্দ্রারই

বিন্দ্রা ভারতীয় ক্রীড়া জগতে এক উজ্জ্বল নাম। ব্যক্তিগত স্তরে অলিম্পিক্সে নীরজ চোপড়ার সোনা জয়ের আগে পর্যন্ত ভারতের একমাত্র সোনার পারফরম্যান্স ছিল তারই।

২০০৮ বেজিং অলিম্পিক্স ভারতীয়দের কাছে বিশেষ, প্রধান কারণ ছিলেন অভিনব সিং বিন্দ্রা। প্রথম ভারতীয় যিনি, ব্যক্তিগত ইভেন্টে স্বর্ণ পদক জয় করেছিলেন। ক্রিকেটপ্রিয় ভারতকে এক অন্য খেলায় একক বিভাগে সোনা পাওয়ার স্বাদ এনে দেন তিনিই। 

শ্যুটিংয়ে অভিনব বিন্দ্রা ভারতকে সোনা এনে দিয়েছিলেন। শ্যুটিংয়ে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন তিনি। ১৫ বছর বয়সে, বিন্দ্রা ১৯৯৮ কমনওয়েলথ গেমসে সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারী ছিলেন। ২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকেও তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় অংশগ্রহণকারী ছিলেন। সেই অলিম্পিকে, তিনি ৫৯০ স্কোর অর্জন করেছিলেন, যা তাকে যোগ্যতা রাউন্ডে ১১তম স্থানে রেখেছিল। সেই স্কোর নিয়ে তিনি ফাইনালে উঠতে পারেননি।

২০০০ সালেই তিনি অর্জুন পুরস্কারেও ভূষিত হন। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, তিনি তার প্রথম পদক জিতেছিলেন, একটি ব্রোঞ্জ। ২০০১ সালের মিউনিখ বিশ্বকাপে একটি নতুন জুনিয়র বিশ্ব রেকর্ড ৫৯৭-৬০০ স্কোর করে। তিনি সেই বছর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিটিংয়ে ছয়টি স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া পুরস্কার, মর্যাদাপূর্ণ মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন।

২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮২, উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনে বিন্দ্রার জন্ম একটি পাঞ্জাবি পরিবারে। তার স্কুল জীবন কাটে দেরাদুনের দুন স্কুল এবং চণ্ডীগড়ের সেন্ট স্টিফেন স্কুলে। স্কুলের পর কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে পড়াশোনা করেন। সম্ভাব্য সর্বোত্তম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রশিক্ষণের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিন্দ্রা জার্মানিতে দীর্ঘ সময়ের জন্য প্রশিক্ষণ নেন, যা তখন ভারতে ছিল না।

ম্যানচেস্টারে ২০০২ সালের কমনওয়েলথ গেমসে এয়ার রাইফেল ইভেন্টে তিনি ডবলসে সোনা এবং ব্যক্তিগত ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছিলেন। এরপর ২০০৪ এথেন্সে অলিম্পিকে, তিনি একটি নতুন অলিম্পিক রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন কিন্তু পদক জিততে পারেননি। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে তিনি ৫৯৭ স্কোর করেছিলেন এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন, কিনান ঝু (৫৯৯, একটি নতুন অলিম্পিক রেকর্ড) এবং লি জি (৫৯৮) এর পর। ফাইনালে, অভিনব ৯৭.৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেন। ১০০-এরও কম পয়েন্ট নিয়ে তিনিই একমাত্র খেলোয়াড় এবং সপ্তম স্থানে উঠে আসেন।

এই সাফল্যের পর, একটি গুরুতর পিঠের আঘাত তাকে ভোগাতে শুরু করে এবং ২০০৮ সালের অলিম্পিকের জন্য তার প্রস্তুতি বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি এক বছরের জন্য রাইফেল তুলতে অক্ষম হন । বিন্দ্রা ২০০৬ সালের আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের মধ্যে দিয়ে ফের প্রতিযোগিতায় ফিরে আসেন এবং ৬৯৯.১ স্কোর নিয়ে শিরোপা জিতে ২০০৮ বেজিং-এর জন্য টিকিট কনফার্ম করেন।

তারপরেরটা রূপকথার গল্প। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে, পুরুষদের ১০-মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে বিন্দ্রা খেতাব জিতেছিলেন। মোট ৭০০.৫ শ্যুট করেছিলেন। তিনি কোয়ালিফাইং রাউন্ডে ৫৯৬ স্কোর করেন, চতুর্থ স্থান অর্জন করেন এবং ১০৪.৫ রাউন্ডের সাথে ফাইনালে অন্য সব শ্যুটারদের ছাড়িয়ে যান। ফাইনালে, তিনি ১০.৭-র শট দিয়ে শুরু করেছিলেন এবং ১০.০-র নিচে কখনও নামেননি। বিন্দ্রা হেনরি হাক্কিনেনের সাথে তার চূড়ান্ত শটে বাঁধা পড়েন। বিন্দ্রা ফাইনালে তার সর্বোচ্চ স্কোর করেন – ১০.৮ যেখানে হাক্কিনেন ৯.৭ স্কোর করে ব্রোঞ্জ পদক স্থির করেন।

২০১০ নয়াদিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমসে, বিন্দ্রাকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকাবাহী হিসাবে সম্মানিত করা হয়। ৭১টি দেশের ৬,৭০০ জন অংশগ্রহণকারীর পক্ষে তাকে অ্যাথলেটদের শপথ নেওয়ার সম্মানও দেওয়া হয়েছিল। ১৯ তম কমনওয়েলথ গেমসে ভারতের উদ্বোধনী স্বর্ণপদক জেতার জন্য পুরুষদের জন্য ১০-মিটার এয়ার রাইফেল ডবলস ইভেন্টে ১১৯৩ পয়েন্টের গেম রেকর্ড গড়েন বিন্দ্রা ও গগন নারাঙ্গের। ব্যক্তিগত ইভেন্টে তিনি ঘরে তুলেছেন রৌপ্য পদক। কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত ১২তম এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে পুরুষদের ১০-মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে বিন্দ্রা স্বর্ণপদক জিতেছেন ।

সাল ২০১১। মুক্তি পেয়েছিলো অভিনব বিন্দ্রার আত্মজীবনী 'এ শট অ্যাট হিস্ট্রি'। বইয়ের পাতায় পদক জয়ের খিদে, লড়াই এবং সাফল্য তুলে ধরলেন ভারতীয় শুটার। সেই বইয়ে তিনি অস্বীকার করেন শুধুমাত্র সেরা প্রশিক্ষণ বা কোচেরাই সাফল্য এনে দেওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে। তাঁর লড়াইয়ের সেই কাহিনি অনুপ্রেরণা দিল গোটা দেশকে।

২০১২ লন্ডনে অলিম্পিকে যোগ্যতা রাউন্ডে হেরে যান, ৫৯৪ স্কোর নিয়ে ১৬ তম স্থানে শেষ করেন অভিনব। গ্লাসগোতে ২০১৪ কমনওয়েলথ গেমসে বিন্দ্রা আবার পুরুষদের ১০-মিটার এয়ার রাইফেল একক ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন।

২০১৬-র রিওয় ভারতের পতাকা বহনের দায়িত্ব পাওয়ার দিন অবসর ঘোষণা করলেন অভিনব বিন্দ্রা। ২০০৮ বেজিংয়ে সোনাজয়ী শ্যুটার জানিয়েছেন, রিও অলিম্পিক্স শেষে অবসর নেবেন। ৮ অগস্ট ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টই ছিলো তার শেষ প্রতিযোগিতা। ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে প্রথম ব্যক্তিগত সোনাজয়ী অভিনবের রিও ছিলো পঞ্চম অলিম্পিক্স। রিও ডি জেনিরোতে অলিম্পিকে তিনি ১০-মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টের ফাইনালে চতুর্থ স্থান অর্জন করেছিলেন।

২০১৬ রিও অলিম্পিক্সে পদক না পেলেও শিরোনামে চলে আসেন অভিনব বিন্দ্রা। তার এক টুইটের জন্য বিতর্কের মুখে চলে আসেন তিনি। যে টুইটে তিনি লেখেন, 'প্রত্যেক পদকের জন্য গ্রেট ব্রিটেনের খরচ ৫৫ লক্ষ পাউন্ড। এই পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার। যতক্ষণ না দেশে পরিকাঠামোর উন্নতি হচ্ছে ততক্ষণ এর চেয়ে বেশি আশা না করাই ভাল।'

বিন্দ্রার এই টুইটের পর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিতর্ক শুরু হয়। কেউ কেউ বিন্দ্রাকে সমর্থন করলেও অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ফিজি, কেনিয়া, ইথিওপিয়ার মতো অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো কি পদক পিছু ৫৫ লক্ষ পাউন্ড (ভারতীয় টাকায় প্রায় ৪৮ কোটি) খরচ করছে? তা হলে ওই দেশগুলো পদক পাচ্ছে কী ভাবে?

সেই সময়ই দেশের অ্যাথলিটদের ব্যঙ্গ করে ভারতীয় লেখিকা শোভা দে টুইট করেন, ''অলিম্পিক্সে টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য: রিও যাও, সেলফি তোলো। খালি হাতে ফিরে এসো। টাকা আর সুযোগের কী অপচয়।'' তার টুইট বোমা আছড়ে পড়ার পরই বিস্ফোরণ হতে সময় লাগেনি। তার আঁচ এতটাই যে বিতর্ক থেকে দশ হাত দূরে থাকা অভিনব বিন্দ্রাও পাল্টা এক হাত নেন শোভা দে-কে। এক চুলের জন্য ব্রোঞ্জ ফস্কানো বিন্দ্রার টুইট, ''শোভা দে, এটা কিন্তু অবিচার হয়ে গেল। গোটা বিশ্বের বিরুদ্ধে আপনার দেশের অ্যাথলিটরা শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নেমেছে। আপনার তো গর্ব হওয়া উচিত।''

বিতর্ক পিছু ছাড়েনি বিন্দ্রার। ২০১৭-র বার্লিনে প্যারা সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে আর্থিক ভাবে দুঃসহ অবস্থায় পড়েছিলেন কাঞ্চনমালা পান্ডে। সেই ঘটনার জেরেই বিদেশ সফররত অ্যাথলিটদের সুবিধার জন্য বিশেষ হেল্পলাইনের সুপারিশ জানিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে চিঠি দিয়েছিলেন বিন্দ্রা।

সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত অলিম্পিক্স টাস্ক ফোর্সে ছিলেন অভিনব। মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট পড়েই তিনি জানতে পেরেছিলেন প্যারালিম্পিক কমিটি অব ইন্ডিয়া (পিসিআই) কাঞ্চনমালাকে প্রয়োজনীয় অর্থসাহায্য করা হয়নি। এর পরেই ক্রীড়ামন্ত্রী বিজয় গয়ালকে শুক্রবার চিঠি লিখে বিন্দ্রা জানিয়েছেন, ''বার্লিনে দেশের এক প্যারালিম্পিক অ্যাথলিটকে নিয়ে যা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে অ্যাথলিট ম্যানেজমেন্ট। যা বন্ধ করতে আমার পরামর্শ, বিদেশ সফরকালে অ্যাথলিটদের জন্য হেল্পলাইন চালু করা হোক। তা হলে ভবিষ্যতে এই জাতীয় সমস্যা হলে তা সমাধান করা যাবে। বিদেশে গিয়ে কেউ এ রকম আর্থিক সমস্যায় পড়লে চটজলদি তাঁকে সমস্যামুক্ত করা যাবে। না হলে অনেক ভাল কাজ হওয়া সত্ত্বেও এ জাতীয় বিতর্কে মুখ পুড়বে দেশের।''

অভিনব বিন্দ্রা হলেন অভিনব ফিউচারিস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও। একটি সংস্থা যা খেলাধূলা  এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে আসার জন্য কাজ করে। এবিটিপি, ক্রীড়া বিজ্ঞানের একটি গ্রুপ এবং অ্যাডভান্সড ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন(PMR) কেন্দ্রের সাথে, সংস্থাটি পাঁচ হাজার টিরও বেশি ক্রীড়াবিদ এবং চিকিৎসা রোগীদের সেবা করেছে। অভিনব বিন্দ্রা ফাউন্ডেশনের অধীনে, একটি অলাভজনক উদ্যোগ, ক্রীড়াবিদদের বিনামূল্যে সর্বশেষ ক্রীড়া প্রযুক্তি এবং উচ্চ-পারফরম্যান্স শারীরিক প্রশিক্ষণের অ্যাক্সেস প্রদান করা হয়। অনেক ক্রীড়াবিদ যেমন সাঁতার ,ব্যাডমিন্টন , বক্সিং এবং প্যারা-অ্যাথলেটিক্স ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কর্মসূচি থেকে উপকৃত হয়েছে। ২০২০ সালে, তিনি ভুবনেশ্বরে অভিনব বিন্দ্রা স্পোর্টস মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট চালু করেন ভারতীয় স্বাস্থ্যসেবা এবং ক্রীড়া মেডিসিন সেক্টরে গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস আনার লক্ষ্যে ।

দেশে খেলার জগতে বিন্দ্রার প্রাথমিক আউটরিচ হল অভিনব বিন্দ্রা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে, একটি অলাভজনক সংস্থা যা ভারতীয় খেলাধুলায় খেলাধুলা, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে এক করতে এবং উচ্চ-কার্যকারিতা শারীরিক প্রশিক্ষণকে উৎসাহিত করতে কাজ করে৷ ২০১৮ সালে, অভিনবকে মর্যাদাপূর্ণ ব্লু ক্রস, আইএসএসএফ (ISSF)-এর সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হয়েছিল।

তার অবসর গ্রহণের পর থেকে, বিন্দ্রা ক্রীড়াবিদ উন্নয়নের জন্য ভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নীতিগুলির মধ্যে একটি TOP স্কিমের সঙ্গে জড়িত। তিনি আইএসএসএফ এবং আইওসি অ্যাথলেট কমিশনের একটি অংশও ছিলেন, যেখানে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য, আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং উদ্যোক্তা উদ্যোগের মাধ্যমে ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। বিন্দ্রা বর্তমানে আইওসি অ্যাথলেটস কমিশনের সদস্যও । অভিনব বিন্দ্রার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১০মিলিয়ন ইউ এস ডলার।

বছর কয়েক হল বলিউডে বায়োপিকের ছড়াছড়ি। বক্স অফিস কালেকশনও ভাল ফল করায় পরিচালকেরাও রূপোলি পর্দায় জীবনী বানানোর বাড়তি আগ্রহ পেয়েছেন। জনপ্রিয় অভিনেতা ও খেলোয়াড়দের জীবনের ওপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক সিনেমা। সেই তালিকায় যোগ হয়েছেন অলিম্পিক্সে শুটিংয়ে দেশের হয়ে ব্যক্তিগত ইভেন্টে একমাত্র স্বর্ণপদক জয়ী অভিনব বিন্দ্রার নামও।

২০১৭ সালেই বিন্দ্রার বায়োপিক ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। সিনেমায় অভিনবের ভূমিকায় অভিনয় করার কথা হর্ষবর্ধন কপূরের। নিজেই সে খবর জানিয়েছিলেন অনিল কপূরের ছেলে, সোনম কপূরের ভাই হর্ষবর্ধন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনব বিন্দ্রার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেতা। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবির ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, “শুরুটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যখন এমন এক জন মানুষের চরিত্রে অভিনয় করছেন যাঁকে নিয়ে গোটা দেশ গর্ব করে।” যদিও এই বায়োপিকের কাজ এখনও শুরু হয়নি।

নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...