মিড ডে মিলের বরাদ্দ বাড়ল

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক মিড ডে মিলে বরাদ্দ বাড়াল। আসলে যেভাবে দিন দিন বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঘটছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে এই বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। প্রাথমিক স্তরে ছাত্র পিছু বরাদ্দ হয়েছে ১৩ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিকে বরাদ্দ হয়েছে ছাত্রপিছু ২০ পয়সা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের পয়লা এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত টাকা স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে।

      গত ২৪ জুন কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে চিঠি পাঠানো হয়। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। প্রাথমিক স্তরে ৪ টাকা ৪৮ পয়সা এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ৬ টাকা ৭১ পয়সা করা হচ্ছে। এই নতুন প্রকল্পর মধ্যে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বরাদ্দ থাকবে ৬০ শতাংশ টাকা এবং রাজ্যের থাকবে ৪০ শতাংশ টাকা। উত্তরপূর্ব এবং হিমালয়ান রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ৯০ শতাংশ টাকা দেবে এবং রাজ্যগুলি ১০ শতাংশ টাকা দেবে। উল্লেখ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ১০০ শতাংশ টাকাই দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

        তবে ছাত্রপিছু সাত থেকে আট টাকা না হলে সঠিক মানের খাবার দেওয়া সম্ভব হয়না বলেই জানাচ্ছেন শিক্ষক মহল। তাই এই সামান্য বৃদ্ধিতে স্কুলগুলির লাভ হওয়ার তুলনায় খবরের বাড়বাড়ন্তই বেশি হচ্ছে বলে অভিমত তাঁদের। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,  আগে প্রাথমিক স্তরে ছাত্র-ছাত্রী পিছু বরাদ্দ ছিল ৪ টাকা ৩৫ পয়সা, অপরদিকে উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬ টাকা ৫১ পয়সা।

        কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের আরও ভালো পুষ্টির জন্য রাজ্য সরকার তাদের শেয়ার বাড়াতে পারে। কোনও রাজ্য যদি চায়, তাহলে তারা তাদের রিসোর্স বাড়িয়ে পড়ুয়াদের আরও পুষ্টিকর খাবার দিতেই পারে। তবে সেক্ষেত্রে অবিলম্বে স্কুলগুলিকে এই বর্ধিত টাকার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারকে জানিয়ে দিতে হবে। বলাই বাহুল্য এই সামান্য বৃদ্ধিতে স্কুলের তেমন লাভ কিছুই হবেনা। বর্তমানে রান্নার জ্বালানি খরচ অনেকটাই বেড়েছে। গত এপ্রিল মাসে যেখানে ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ৭০৫ টাকা, সেখানে মে মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৭০৫ টাকা এবং পরে জুন মাসে আবার বেড়ে হয়েছে ৭৩৬ টাকা। পাশাপাশি মুরগির ডিম জোড়ায় দাম বেড়েছে এবং মুরগির মাংসেরও দাম বেড়েছে। তাই এইরকম এক ছটাক দাম বাড়িয়ে আদৌ স্কুলগুলির কোনো উপকারই করেনি কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। তবু তাদের যে এই খাতে কিছুটা হলেও বরাদ্দ বাড়ানোর কথা মনে হয়েছে, সেই উদ্যোগকেই প্রশংসা করতে হয়।

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...