কলকাতা থেকে বাংলাদেশ যাত্রা এবার মাত্র ১০ ঘন্টায়!

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ ও ‘নেবারহুড ফার্স্ট পলিসি’র দিকে লক্ষ্য রেখে ভারতীয় রেলওয়ে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী অনেক নতুন রেলওয়ে লাইন প্রকল্প কার্যকর করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আগরতলা-আখাউরা আন্তর্জাতিক সংযোগী গুরুত্বপূর্ণ রেল লাইন প্রকল্প নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।  ত্রিপুরার পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই এই প্রকল্পের নির্মাণ সমাপ্ত হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে।

3188692113_11zon

ভারত ও বাংলদেশের মধ্যে ১৫.০৬৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেললাইনটি নিশ্চিন্তপুরের ইন্টারন্যাশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের আখাউরাকে যুক্ত করবে, যেটি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যসামগ্রী বিনিময়ের জন্য একটি ডুয়েল গজ স্টেশন হয়ে উঠবে। এই প্রকল্পটিতে ১টি মেজর ব্রিজ ও ৩টি মাইনোর ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

bangla-tripura

প্রকল্প শেষ হলে কমবে কলকাতা-ঢাকার দূরত্ব। ঢাকা হয়ে আগরতলা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াতের প্রায় ৩১ ঘণ্টার দূরত্বকে ১০ ঘণ্টায় কমিয়ে দেবে এই পথ। আশা, এই নতুন রেল প্রকল্পটি ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের বিশেষত ত্রিপুরার পর্যটন শিল্পের উন্নতি ঘটবে এবং সীমান্ত অঞ্চলের শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

এই রেল পথটি দ্রুতগতিতে পণ্যসামগ্রীর আমদানি ও রপ্তানিতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি, স্থানীয় উৎপাদনকারীরা নিজেদের উৎপাদিত সামগ্রী চটজলদি  দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। প্রকল্পের ভারতীয় অংশের কাজ শেষ করার জন্য ব্যয়ের হিসাব ৮৬২.৫৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটির জন্য অর্থ দিয়েছেন ডোনার মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৭০৮.৭৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে, বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য ডোনার মন্ত্রণালয় থেকে বাকি পুঁজির ভাগ  চাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

অবশিষ্ট অংশের কাজ দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল।তার জন্য তারা নিজস্ব বাজেট থেকে ১৫৩.৮৪ কোটি টাকা ভাগ দিয়ে কাজ করছে।  পুঁজি ভাগ হওয়ার পরেই প্রকল্পটির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...