পানীয় জলের সংকট মেটাতে রাজ্য সরকার বদ্ধপরিকর। পুরসভার নতুন মেয়র এই ব্যাপারে বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছেন। মোট ৯টি জল প্রকল্পের কাজ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উক্ত ওয়ার্ডগুলি হল- ১০৮, ১১০, ৫৮, ১০১, ১০৬, ১০৯ এবং ৯৩ নং ওয়ার্ড, যেখানে জল প্রকল্প অগ্রাধিকার পাবে। নতুন করে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হল এই খাতে। সর্বমোট ৬৭ কোটি ১৩ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে সমগ্র জল প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য। গ্রীষ্মকালের আগেই যাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা যায়, তার দিকে নজর দিচ্ছে প্রশাসন। এছাড়াও জেমস লং সরণী থেকে পাইপলাইন মারফত পরিস্রুত পানীয় জল টালিগঞ্জে নিয়ে আসার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। একইভাবে ওয়াটগঞ্জ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জন্য হুগলি নদীর ধরে তক্তাঘাটে প্রতিদিন ১৫ মিলিয়ন গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাম্পিং ষ্টেশনও তৈরী করা হচ্ছে। টালিগঞ্জে পাইপলাইন মারফত পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্পটি ১৫ কোটি টাকার বেশি। তক্তাঘাটে পাম্পিং ষ্টেশনের জন্য খরচ করা হবে ১৬ কোটি ২৭ লক্ষ টাকারও বেশি।
গত ১৪ ডিসেম্বর এক নির্দেশিকা জারি করে এই ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ১০৮ নং ওয়ার্ডের আনন্দপুরে ওভারহেড রিজার্ভারের ক্ষমতা বাড়াতে খরচ করা হচ্ছে ৭ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা এবং ১১০ নং ওয়ার্ডের পাটুলির ওভারহেড রিজার্ভারের ক্ষমতা বাড়াতে খরচ করা হচ্ছে ৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকারও বেশি। ৯৩ নং ওয়ার্ডের লেক গার্ডেন্সের বাঙুর পার্কে ভূগর্ভস্থ জলাধার এবং বুস্টার পাম্পিং ষ্টেশন তৈরী করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এখানে খরচ হবে ২কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। ৪ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা কায়স্থপাড়ার জন্য এবং ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা ১০৯ নং ওয়ার্ডের পঞ্চসায়রের জলাধারের জন্য জলাধার তৈরী করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ই এম বাইপাস লাগোয়া ৫৮ নং ওয়ার্ডের হাটগাছিয়ায় নতুন ভূগর্ভস্থ জলাধার সহ পাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য খরচ করা হচ্ছে ৪ কোটিরও বেশি টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যেদিন নতুন মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শহরের যে কটি এলাকায় পানীয় জলের সংকট রয়েছে, সেখানে নতুন করে প্রকল্প তৈরী করতে হবে। সেই মতই এ দিন বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ ঘোষণা করা হল।
 In English
													
