এবার বইমেলা যাত্রীদের জন্য স্পেশাল বাস পরিষেবা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর, জানুন বিশদে

শীতকাল মানেই উৎসব, মেলা, পিকনিক, ইত্যাদি। শহরের অলিগলিতে চলছে নানান রকমের মেলা। এবার কলকাতার বুকে শুরু হতে চলেছে বইমেলা। আর কিছুদিনই বাকি।

এই বইমেলায় শুধুমাত্র কলকাতা শহরের বাসিন্দারা নয়, রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসে মানুষেরা, শুধুমাত্র বইয়ের টানে। তাই শহরে প্রচুর ভীড় হবে, এটা নিশ্চিত। যাতায়াতের সমস্যা কোনওরকম সমস্যা না হয় সেই বিষয়ে সচেতন পরিবহণ দফতর।

একদিকে বইমেলা, অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলা। যাত্রীদের ভীড়ে-ভীড়াক্কার হবে শহর। তাই বইমেলাকে কেন্দ্র করে বিশেষ বাস পরিষেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর।

এই প্রসঙ্গেই গত বুধবার কসবা পরিবহণ অফিসে সাংবাদিক বৈঠক করেন পরিবহন মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানে বইমেলার ভিড় সামলাতে কোথা থেকে, কীভাবে বাস চালানো হবে, সমস্ত কিছু জানালেন তিনি।

এটা প্রত্যেকবারের সমস্যা যে বইমেলা যাওয়া গেলেও ফেরার সময়ে অনেকে সব রুটে বাস পান না। পেলেও সেই বাসে কখনও কখনও অনেক ভিড় থাকে। তাই এই বিষয় নিয়ে খুবই সচেতন রাজ্য সরকার।

তাই, জানা গিয়েছে যে করুণাময়ী এবং ময়ূখ ভবনের কাছে দুইটি বাস স্ট্যান্ড থেকে স্পেশাল বাস চালানো হবে। সেখান থেকে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন রুটে বাস চলবে। ফলে অফিস আওয়ার্সে মেলা থেকে বেরিয়ে কষ্ট করে বাঁদুরঝোলার মতন হয়ে ফিরতে হবে না কাউকেই।

১৮ তারিখ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রোজ দুপুর ৩টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রায় ২০০টি বইমেলা স্পেশাল বাস চালানো হবে।

সেখানে থাকবে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনের বাস। পাশাপাশি পর্ণশ্রী, শকুন্তলা পার্ক, ঠাকুরপুকুর, গড়িয়া, কামালগাজি, টালিগঞ্জ মেট্রো, বারাসাত, বালি হল্ট, বারুইপুর, ব্যারাকপুর, যাদবপুর, সাঁতরাগাছি, উল্টোডাঙা, রথতলা, বেলগাছিয়া, বারাসাত, ডানকুনিতেঅ বাস যাবে।

এছাড়া বাস যাতে সুষ্ঠভাবে সঠিক সময়ে চলে, সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। করুণাময়ী এবং ময়ূখ ভবন ক্যাম্প অফিসেই পরিবহণ দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা থাকবেন, তাঁরা পুরো বিষয়টাই কড়া নজর রাখবেন এবং বিধাননগর পুলিশও দায়িত্বে থাকবেন।

এছাড়া জানা গিয়েছে যে স্পেশাল বাসের বিষয়ে পাবলিক যদি না জানতে পারে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পরিবহণ দফতর ঠিক করেছেন যে বইমেলাতেই এই বাস পরিষেবার বিষয়ে প্রচার করা হবে।