শীতের আমেজে মুখের স্বাদ ফেরাবে চুনোমাছের মেলা, জেনে নিন কোথায় হচ্ছে

শীতের দিনে থালায় গরম ভাতের পাশে মচমচে করে ভাজা চুনোমাছ। আর কিচ্ছু লাগবে না। মনে হবে গরম ভাত আর গরম গরম মাছ ভাজা দিয়েই ভরে যাবে পেট। মন ভরে যাব তৃপ্তিতে। রুই, কাতলা, ভেৎকি রমতঅবড়ো মাছের পাশে বাঙালি হেঁশেলের আকর্ষণ ‘চুনো মাছ’। মৌরলা, পুঁটি, ছোট শোল, খোলসে, চাঁদা এসব মিলিয়ে মিশিয়ে বাজারে মেলে ‘চুনো মাছ’। ভাজা থেকে চচ্চড়ি হয়ে অম্বল চুনো মাছ যেভাবেই খাওয়া হোক না কেন সবেতেই হিট। গরম ভাতের সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা ভাত মানে পান্তাতেও।কিন্তু আজকাল ব্যস্ততা বড় বালাই। তাই বাঙালির রান্নাঘর থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে চুনো মাছ। সময়ের পিছনে সকাল থেকে  রাত অবধির দৌড়ে ‘ছোট মাছ’ বাছার বা রান্না করার দায় বড় ভার।  

IMG-20231226-WA0018

সেই চুনো মাছের জন্য আয়োজিত হচ্ছে মেলা। চুনো মাছের নানা পদ আনন্দ করে চেখে দেখছে মানুষ। মেলা স্থল বর্ধমানের পূর্বস্থলি।   

সেখানেই শুরু হয়েছে চুনো মাছের মেলা। বাংলার বিপন্ন পুঁটি, খলসে, মৌরলা প্রভৃতি চুনোমাছকে নাগরিক জীবনে বাঁচিয়ে রাখাই এই আয়োজনের উদ্দ্যেশ্য।

সোমবার বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর বিদ্যানগরে খালবিল চুনোমাছ, পিঠেপুলি ও প্রাণী পালন উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। উল্লেখ্য, এ বছর এই উৎসব ২৩ বছরে পা দিল। প্রতিবছরই বর্তমান রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের উদ্যোগে ৩ দিন ধরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়। মূলত জলাশয়গুলিকে রক্ষা করা এবং তারই সঙ্গে বাংলার হারিয়ে যাওয়া পুঁটি, খলসে, মৌরলা প্রভৃতি চুনোমাছকে বাঁচিয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।

ইতিমধ্যেই বিদ্যানগর এলাকায় চুনো মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। হচ্ছে বাটারফ্লাই গার্ডেন।

পূর্বস্থলী এলাকার জলাশয়কে ঘিরেই এই উৎসবের আয়োজন হয়। জলাশয়ের মাঝে মঞ্চ বেঁধে বাউল গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মাছের নানা পদের পাশাপাশি পিঠেপুলির দোকান বসে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা পিঠেপুলি তৈরি করেন। সঙ্গে তো রয়েছেই চুনো মাছেরও বিভিন্ন পদের আয়োজন করা হয়ে থাকে। চুনো মাছের মেলা ঘিরে মানুষজনের আগ্রহ দেখার মতো। স্থানীয় মানুষ তো বটেই, দূর থেকেও মেলায় আসছেন মানুষরা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...