নতুন রূপে ধরা দেবে হাওড়ার শালিমার স্টেশন

হাওড়ার শালিমার রেল স্টেশনের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। সাঁতরাগাছির পাশাপাশি আগামীদিনে এই স্টেশনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হতে চলেছে। এই স্টেশন থেকে যাতে নতুন অনেক ট্রেন চালানো যায়, তার প্রস্তুতি চলছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হিসেবে যাতে এই স্টেশনকে জিতে বলা যায়, তার জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে। প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত করার কাজ চলছে এখন ওই স্টেশনে।

                চারতলা স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা বৃদ্ধি, একাধিক সাবওয়ের পাশাপাশি একটি উড়ালপুলও তৈরি হবে। হাওড়া স্টেশন এবং বিদ্যাসাগর সেতু থেকে শালিমার স্টেশনে খুব অল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই উড়ালপুল তৈরি হয়ে গেলে। রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এখানে মাত্র দুটি প্ল্যাটফর্ম ছিল। আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে। স্টেশনের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত এবং বাইরে যাওয়া -আসার জন্য তৈরী করা হবে চারটি সাবওয়ে। একটি উড়ালপুল তৈরী হবে যা হবে ৬০ মিটার লম্বা এবং ২১ মিটার চওড়া। উড়ালপুলের একটি শাখা হাওড়া স্টেশনে যাওয়ার জন্য ফোরশোর রোডের সঙ্গে এবং অপর আর একটি প্রান্ত যুক্ত করা হবে বিদ্যাসাগর সেতুর সঙ্গে। এর ফলে কলকাতা থেকে হাওড়া দু'দিকেই যোগাযোগ অনেকটা উন্নত হবে। চারটি পিটলাইন এবং ছ'টি স্টেবলিং লাইন তৈরি হবে রেলের বগি মেরামতির জন্য।

                দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, শালিমার স্টেশন আজকের নয়। হাওড়ার এই স্টেশন ১৯০৫ সাল থেকে চালু রয়েছে। আগে এখানে মূলত মালগাড়ি যাওয়া-আসা করত বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের জন্য। শুধুমাত্র একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চলত তখন সাঁতরাগাছি থেকে শালিমার পর্যন্ত, যা শুধুমাত্র রেলের কর্মচারীরাই ব্যবহার করত। হালে অর্থাৎ ২০০৫ সাল থেকে এই স্টেশনের আস্তে আস্তে উন্নতি হতে শুরু করে। যাত্রীবাহি ট্রেন দেওয়া শুরু হয়। বর্তমানে যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এটি অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী রেলের প্রতিটি কর্মচারী। তার পাশাপাশি স্টেশনের আশপাশে বিভিন্ন রকম দোকানপাট তৈরি হবে যখন স্টেশন ব্যস্ত হয়ে উঠবে। তার ফলে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্রও পাল্টে যাবে বলে আশাবাদী দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...