মিড ডে মিলের দায়িত্বে মায়েরা

সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোতে বহুদিন ধরেই চালু রয়েছে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা। প্রতি ছাত্র পিছু ৩০০ ক্যালোরিযুক্ত খাদ্য দেওয়াকেই নিয়ম করা হয়। কিন্তু দিন এগোনোর সাথে সাথে মিড ডে মিলের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কিছু কিছু জায়গায় ছাত্রছাত্রীরাই তাদের খাবারের সম্পর্কে ঋনাত্বক মনোভাব প্রকাশ করে। এই দিক নজরে রেখে এবার ছত্তিশগড়ের একটি স্কুল নিলো এক অভিনব পদক্ষেপ।

 

মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে ছাত্র ছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবরও নতুন কিছু নয়। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের একটি স্কুলে ছাত্রদের মিড ডে মিল বাবদ দেওয়া হয় রুটি এবং নুন সেখানে দাঁড়িয়ে মিড ডে মিল নিয়ে যাতে কোনো কথা না শুনতে হয় তার জন্য ছত্তিশগড়ের একটি স্কুল মিড ডে মিলের রান্না করার দায়িত্ব দিয়েছে সেই স্কুলের ছাত্রদের মায়েদের উপর। জানা গেছে, মোট ১২ জন মাকে এই কাজের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়মায়েদের পাশাপাশি বাবাদের লাগানো হয়েছে মিড ডে মিল তৈরির কাজেতবে তারা মূলত খাবারের সরঞ্জাম আনার দায়িত্বেই রয়েছেন

 

শিশুরা যায় মিড ডে মিলের মধ্যেই কোয়ালিটি ফুড পায় তার জন্যই স্কুলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। অম্বিকাপুর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাইভেট স্কুলে নেওয়া হয়েছে এই অভিনব পদক্ষেপ। জানা গেছে, খাদ্যের সরবরাহ সেইসব অভিভাবকদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে যারা চাষাবাদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। যেইসব অভিভাবকদের চাষের জমিতে ফলছে চাল, গম বা সবুজ শাকসবজি তাদের থেকেই নেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলের নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগান। স্কুলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মিড ডে মিল বাবদ ডালিয়া, চিড়ে, হালুয়া, উপমা প্রভৃতি দেওয়া হচ্ছেএর সাথে সাথেই প্রতিদিন শিশুরা যাতে ব্রেকফাস্ট-এর জন্য দুধ পায় সেই দিকেও কড়া দৃষ্টি রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...