‘সঞ্জু’ছবির একটি অংশে সঞ্জু ওরফে রণবীর কাপুর বলছেন, ‘আমি ড্রাগ নিয়েছি তিনটে কারণে, প্রথমবার বাবার ওপর রাগ করে, দ্বিতীয়বার মায়ের অসুখের জন্য ৷ আর তৃতীয়বার আমার নেশা হয়ে গিয়েছে।
রাজকুমার হিরোয়ানির ‘ সঞ্জু’ অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক। সঞ্জয়ের ড্রাগ আসক্তির কথা গোটা দেশ জানে। বই, এবং বায়োপিক দু জায়গাতেও উঠে এসেছে তাঁর জীবনে মাদকাসক্তির কথা। ১২ বছর তিনি ড্রাগের নেশায় কাটিয়েছিলেন। প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, এমন কোনও নেশা ছিল না যা তিনি করেননি। মা নার্গিসের মৃত্যু সঞ্জয়ের মাদক গ্রহণের একটা বড় কারণ ছিল।
সঞ্জয় দত্ত মাদক আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ড্রাগ রিহ্যাবসেন্টারেও ভর্তি ছিলেন এক সময়।তাঁর বাবা অভিনেতা সুনীল দত্ত সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।
সেই সঞ্জয় দত্ত এবার দেশের মাদক বিরোধী প্রচারের মুখ হতে চলেছেন। ভারত সরকারের মাদকবিরোধী প্রচারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত হতে চলেছেন তিনি। ইউনিয়ন সোশাল জাস্টিস এবং অ্যান্ড এম্পাওয়ারমেন্ট মিনিস্ট্রির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সঞ্জয় দত্ত একজন আইকন। তিনি মাদক ব্যবহারে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তরুণ প্রজন্মের কাছে মাদকের ব্যবহারের অপকারিতা নিয়ে বার্তা দেওয়ার জন্য আমাদের মনে হয়েছে তিনিই উপযুক্ত।’
ভারতে মাদকবিরোধী কার্যকলাপের জন্য জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে এই কার্যকলাপ। মাদক বিরোধী সচেতনতা কর্মসূচির পাশাপাশি কাউন্সেলিং এবং রিহ্যাবিলিটেশনের নজর দেওয়া হবে। গোটা দেশে ১২৭টি হাই-রিস্ক জোন চিহ্নিত করা হয়েছে।
২৬ জুন মাদক বিরোধী দিবসের দিন এ ব্যপারে বিস্তারিত ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত গত রবিবারই সশ্যাল মিডিয়ায় সঞ্জয় দত্ত আর্ট অফ লিভিং গুরু রবি শংকরের হ্যাশট্যাগ ড্রাগ ফ্রি ইন্ডিয়া ক্যাম্পেনের সমর্থন জানিয়েছিলেন। মাদকমুক্তি কর্মসূচির স্নগে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকেই তাঁর এই ইচ্ছা বলেও জানিয়েছিলেন।