ফের শোকের ছায়া বাংলা সংগীত মহলে! প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত

বাংলা সংগীত মহলে আবারও শোকের ছায়া। প্রয়াত জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত। প্রয়াত সুমিত্রা সেনের ছাত্রী ছিলেন তিনি। তাঁর রবীন্দ্র সংগীত মন ছুঁয়েছে বহু শ্রোতাদের। জানা গিয়েছে বহুদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শিল্পীর ছবি পোস্ট করে সকলকে এই দুঃসংবাদটি জানিয়েছেন সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র। সেখানে তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষের ‘গানের ওপারে’ ধারাবাহিকের স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন পরিচালক। সেই ধারাবাহিকে মেন্টার হিসেবে ছিলেন রুণু দত্ত।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবজ্যোতি ক্যাপশনে লিখেছেন যে রুণু দত্ত (দি) চলে গেলেন। এই খবরটা তাঁকে শ্রাবণী দিয়েছিলেন। তাঁর মনটা এক মুহুর্তে চলে গিয়েছিল সেই ‘গানের ওপারে’র দিন গুলোতে। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে করা একটা অসম্ভব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ঋতু, ঋতুপর্ণ এবং তাঁর। যখন করেছিলেন তখন বুঝতে পারেননি কিন্তু পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ বলেছেন এর কথা এবং এটা সম্ভব হয়ে ছিল যে দুজন মানুষের জন্য তারা শ্রাবণী এবং রুণুদি। রুণুদি ছিলেন সুমিত্রা সেনের একেবারে প্রথম তিনজন ছাত্রীর একজন।

image_2024_03_05T09_35_08_371Z

তিনি আরও লিখেছেন যে গানের ওপারেতে ছিল গোরা র মত চরিত্র। তার গান গাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল সমন্ত্যক কে। কিন্তু তিনি তখন পুরোপুরি রকে মজে। ইংরাজী এবং বাংলা রকই ছিল তাঁর বিশেষত্ব। সে অবস্থায় কাজ করতে শুরু করেছিল তাঁর সঙ্গে। অসম্ভব ভাল গলা ছিল। কিন্তু ওকে তো  রবীন্দ্রনাথের গান শিখতে হবে। রুণুদির কাছে পাঠানো হল ওকে । রুণুদির আনন্দ পালিতের বাড়িতে গিয়ে গান শিখতেন তিনি, নিজের হাতে তৈরি করলেন সেই গান গাওয়ার জন্য। তারপর ভাঙাভাঙি টা তিনি করেছিলাম, কিন্তু রুণুদির হাতে গড়া ওই জিনিস না পেলে তো তিনি ভাঙতে পারতেন না । এরপর একদিন রুণু দিকেই তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন ঠাম্মির , অলকনন্দা রায় এর লিপে গান গুলো  গাওয়ার জন্য।

দেবজ্যোতি বলেছেন যে মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির পর রুণুদির সঙ্গে আবার দেখা হয়েছিল ২০১৫ য় যখন ‘গানের ওপারে’র অ্যালবাম লঞ্চ হল। তিনি জানালেন যে কি আনন্দিত আর কি উজ্জ্বল ছিলেন রুণুদি। আজ মনে হচ্ছে প্রত্যাশাবিহীন ভাবে এঁদের মতন মানুষেরা কি অবলীলায় দিয়ে যেতেন, ক্রমাগত, দিয়ে যেতে পারতেন। তাঁরাও নির্দ্বিধায় আবদার করে যেতে পারতেন। তাঁর মতে এরকম আবদার রাখার লোক আর রইলনা। লাংস ক্যান্সারে ভুগছিলেন। নিজেকেই প্রশ্ন করেছেন যে কতটুকু খোঁজ নিতে পেরেছেন বা নিয়েছেন? এই কষ্ট তাঁর সঙ্গে থেকে যাবে। তিনি নিজেকে কখনই ক্ষমা করতে পারবেন না। বর্তমানে রুণুদি আর নেই, শ্রাবণী বলেছে , কিন্তু তিনি নিজেকে বোঝাবেন কিকরে?

দেবজ্যোতি জানিয়েছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা শিল্পী রুণুর ছবিটা পেয়েছেন কৌশ্তবের কাছে থেকে।

শিল্পী রুণু দত্তের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই কালো ছায়া নেমে আসে গোটা সংগীত মহলে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...