থ্রি…টু…ওয়ান…! আর শুনতে পাওয়া যাবে না সেই কন্ঠ, প্রয়াত ইসরোর বিজ্ঞানী

ইসরোর রকেট লঞ্চ মানেই সেই কন্ঠস্বর শুনতে পাওয়া। শেষ শুনতে পেয়েছিলাম চন্দ্রযান ৩-এর যাত্রা শুরু হওয়ার সময়। চন্দ্রযানের সাফল্য কামনায় তখন টিভির সামনে কোটি কোটি ভারতীয় বসে। সকলের কানে বাজছে সেই কণ্ঠ। থ্রি…টু…ওয়ান… আর তারপরেই শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের মাটিতে পা দেওয়ার জন্যে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান ৩। কিন্তু আর কোনওদিনও শোনা যাবে না সেই কন্ঠ। অনেকেই জানেন না, সেই কণ্ঠস্বর ছিল আসলে ইসরোর বিজ্ঞানী ‘এন ভালরমাথি’র। মুহ্যমান গোটা ইসরোর পরিবার।

বিজ্ঞানী ভালরমাথি, তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরের বাসিন্দা ছিলেন। গত শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ১৯৫৯ সালের ৩১ জুলাই তাঁর জন্ম হয়। নির্মলা গার্লস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল থেকে তিনি পাস করেন। তারপর কোয়েম্বত্তুর থেকে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালে ইসরোয় যোগদান করেন তিনি। ইসরোর একাধিক গবেষণায় এবং উৎক্ষেপণে ঘোষিকা হিসেবে এবং অনেক বড় বড় মিশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর গলা শুনেছে গোটা বিশ্ব। ভারতের প্রথম রেডার ইম্যাজিং স্যাটালাইট (RIS), (RISAT-1) তৈরির সময় তিনি প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১৫ সালে তিনিই প্রথম ‘আব্দুল কালাম সম্মান’-এ ভূষিত হন।

ইসরোর প্রাক্তন ডিরেক্টর ড. পি ভি ভেঙ্কিটাকৃষ্ণনন X প্ল্যাটফর্মে এই দুঃসংবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ''শ্রীহরিকোটা থেকে ISRO-এর ভবিষ্যত মিশনের কাউন্টডাউনগুলির সময় আর শোনা যাবে না ভালরমাথি ম্যাডামের কণ্ঠস্বর৷ চন্দ্রায়ন ৩-এ শেষবার তাঁর গলায় ফাইনাল কাউন্টডাউন শোনা গিয়েছিল। একটি অপ্রত্যাশিত মৃত্যু। খুব খারাপ লাগছে। প্রণাম!''

ভালরমাথির এই অকাল প্রয়ান অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে শুধু শোকবার্তা। 

একজন সেই পোস্টে মন্তব্য করেন, ''আমি #AdityaL1 লঞ্চের সময় তার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করেছি। আমি ভেবেছিলাম তিনি অফিসের বাইরে থাকতে পারেন। কিন্তু আমি এই দুঃখজনক খবর আশা করিনি। আমি সত্যিই তাকে মিস করব. ওম শান্তি।''

আরও এক ব্যক্তি লিখেছেন, ''ভালারমাথি ম্যাডামের মৃত্যুর কথা শুনে আমি খুবই দুঃখিত। তিনি অনেকের কাছে সত্যিকারের অনুপ্রেরণা ছিলেন এবং প্রতিটি লঞ্চের সময় তার ভয়েস মিস করব। ওম শান্তি।''

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...