‘আবার যদি সুযোগ আসে, আমি রাজেশ খান্না হয়েই জন্মাতে চাই’

আসল নাম যতীন খান্না। কিন্তু যতীন খান্না হারিয়ে গিয়েছেন। এক সুপারস্টারের নামের আড়ালে। বলিউডের প্রথম সুপারস্টার। সিনে প্রেমি মানুষের ‘স্বপ্নের রাজপুত্র’। দুনিয়া তাঁকে চেনে ‘রাজেশ খান্না’ নামে।

পাঞ্জাবের অমৃতসর শহরে জন্ম হয় যতীন খান্নার৷ সালটা ১৯৪২। বড় হয়ে ওঠা কাকা-কাকিমার কাছে। স্কুলে নাটক করতেন। কলেজ পাশ করেই ঠিক করেন সিনেমাকেই কেরিয়ার করবেন।

পরিবারের কেউ কোনওদিন সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তবু সিনেমায় আসার ঝুঁকি তিনি নিয়েছিলেন। স্ট্রাগলটা শুরু হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকে। তবে তিনি শুরু থেকেই অন্যরকম স্টারডমের কেতা সঙ্গে করে নিয়েই  ছবির জগতে তাঁর পা রাখা।

  ১৯৬৬ সালে ‘আখরি খত' ছবি দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন রাজেশ খান্না৷ ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ সাল, তিনবছরে ১৫ টি ছবি টানা 'হিট' করিয়েছিলেন। ‘আরাধনা', ‘অমর প্রেম', ‘হাতি মেরে সাথি' ও ‘আনন্দ- এর মতো ছবিগুলো তুমুল সাফল্য পেয়েছিল। সিনেপ্রেমিদের কাছের মানুষ হয়ে উঠেছিলেন ‘বাবুমশাই’।

পর্দায় তাঁকে দেখেই রোম্যান্সের সংজ্ঞা শিখেছিল সত্তর দশক। চোখ তুলে তাকিয়ে পলক  ফেলা হাসি। পোশাক থেকে শুরু করে হেয়ার স্টাইল সবেতেই ‘কাকা’কে চাই!

রাজেশ খান্ন ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৪ অবধি বলিউডের এক নম্বর তারকা ছিলেন। তাঁর প্রতি ফ্যানেদের পাগলামির গল্প প্রবাদ হয়ে আছে।

মহিলা ফ্যানেরা ঠোঁটের লিপস্টিক দিয়ে রাঙিয়ে দিয়েছিল তাঁর দুধ সাদা ফিয়েট। দিস্তে দিস্তে ফ্যানমেল আসত। এমনকি  হাত কেটে রক্ত দিয়ে লেখা চিঠি আসত। আশির দশকে তাঁর জনপ্রিয়তা এমনই ছিল যে সে সময় বহু নবজাতকের নাম রাখা হত ‘রাজেশ’। স্টাইল আর ম্যানারিজম আর অভিনয়ে বুঁদ হয়েছিল ভারতবাসী। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে।

জীবনে বহু উত্থান-পত্ন এসেছে। তবু তিনি একই থেকে গিয়েছিলেন। নিজের দোষ-নিজের গুণ ভালোবেসে এক এবং প্রথম সুপারস্টার বলেছিলেন, ‘আবার যদি সুযোগ আসে, আমি রাজেশ খান্না হয়েই জন্মাতে চাই এবং একই ভুলগুলো আবার করতে চাই।’

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...