বিরল রোগ দিবসে সচেতনা বার্তা দিতেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্থ

নিয়মিত চিকিৎসা চলছে বহু বছর ধরে। কিন্তু তার মাঝেই মঞ্চে চলছে মহড়া। বছরের পর বছর এই সমস্ত শিশুদের নিয়েই বিপ্লব চালাচ্ছে ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্‌থ’।

তাঁদের লক্ষ্য সমাজের বাকি শিশুদের কাছে এরা মোটেই বিচ্ছিন্ন নয়, এরাও কোনও অংশে কম নয়। এমনই বার্তা ফের সকল সাধারণদের দিলেন তারা।

প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘বিরল রোগ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়। বিরল রোগগুলির বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন করতে এই দিনটি পালিত হয়।

ফলে, বুধবার বিশ্ব বিরল রোগ দিবসের সন্ধ্যায় নাচ, আবৃত্তি, নাটকে মাতিয়ে রাখল বিরল রোগ ও ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুরা। জানা গিয়েছে যে কলকাতা শহরের ঢাকুরিয়া অঞ্চলের চিলড্রেন্স লিটল থিয়েটার, অবন মহল সভাগৃহে ‘আলোকের এই ঝরনাধারায়’ বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ‘ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেল্‌থ’ (আইসিএইচ)।

image_2024_02_29T11_52_35_725Z

ডাউন সিন্ড্রোম, অটিজম, ডিসলেক্সিয়া, স্পাইনাল অ্যাট্রফি-র মতো বিভিন্ন বিরল রোগে আক্রান্তদের জন্য পার্ক সার্কাসের এক হাসপাতালে রয়েছে নিবেদিতা বিদ্যালয়। এইদিন সেখানকার প্রায় ২০ জন পড়ুয়া বিভিন্ন গানের ছন্দে তাল মিলিয়ে প্রদর্শন করল একাধিক নাচ। এছাড়া মৃণালিনী সেন্টার ফর ক্যানসার রিসার্চে চিকিৎসাধীন প্রায় ১০ জন রোগী প্রদর্শন করল ‘বেঙ্গমা-বেঙ্গমি’ নাটক। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়।

ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান তথা কার্যনির্বাহী আধিকারিক এবং শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে এই সমস্ত অসুস্থ শিশুর দায়িত্ব শুধু তাদের বাবা-মায়েদের নয়। বরং তাদেরও সমাজের সম্পদ বলে মনে করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করতে হবে তাঁদের সকলকেই। এই অনুষ্ঠান থেকে সেই সচেতনতার বার্তাই চিতে চেয়েছেন তাঁরা। এছাড়া তিনি জানান যে এদিন রূপঙ্কর বাগচী বিনা পারিশ্রমিকে সঙ্গীত পরিবেশনে রাজি হয়েছেন।

অন্যদিকে, আইসিএইচ-এর অধ্যক্ষ, চিকিৎসক জয়দেব রায় জানান যে বিরল অসুখে আক্রান্ত হলেও স্রেফ সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ শিশুর রোগ সময়ে ধরা পড়ে না। তাই ওই সমস্ত রোগ সম্পর্কে সমাজের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

এছাড়া এই বিরল রোগের চিকিৎসার খরচ বেশ অনেকটাই। ফলে, বহু শিশুদের পরিবার সেই খরচের জোগাড় করে উঠতে পারেনা। তাই এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চিকিৎসার বিপুল খরচের কিছুটা জোগাড় করে যাতে রোগী ও পরিজনদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সে দিকেও নজর রেখেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এই বিষয়ে অপূর্ব  জানিয়েছেন যে ‘এই শিশুদের দায়িত্ব সমাজের সকলের। তাই তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারকেও আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...