মানবিকতা! তারুণ্যের উদ্যোগ!

দেখতে দেখতে এক বছর এর কিছু বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করল মানবিকতা,  এক সমাজসেবী সংস্থা। ইচ্ছা শক্তির উপর ভর করে কিছু অনুভবী তরুণ তরুণীদের পথ চলা। উদ্দেশ্য একটাই গরীব, দুস্থ অসহায় মানুষ গুলোর মুখে একটু হাসির সঞ্চার । এই কাজে তাদের কী স্বার্থ? স্বার্থ একটাই ,তাদের মুখের হাসি টুকুই যে এই তরুণ প্রজন্মের এক বড়ো প্রাপ্তি। এর থেকে বড়ো স্বার্থ আর কী হতে পারে?

তারুণ্য গ্রাসী সোশ্যাল মিডিয়া বা মোবাইল গেম কে দূরে সরিয়ে রেখে মানবিকতা সংগঠন এর তরুণ তরুণী নিরন্তর চেষ্টা করে চলেছে দুস্থ শিশু ও বৃদ্ধদের সেবাকরা ,চিকিৎসা প্রদান , শীতবস্ত্র বিতরণ, গরীব মেধাবিদের শিক্ষাসামগ্রী প্রদান, প্রতিবন্ধী দের সহায়তা করার মতো কাজে নিজেদের মগ্ন রাখতে।

যখন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে নেটিজেনরা; রেস্তোরাঁ ,ক্যাফেতে, পিকনিক স্পটে, শহরের বড়ো রাস্তায় মানুষেরা ব্যস্ত বড়দিনের উৎসব পালন করতে তখন মানবিকতা ব্যস্ত পিয়ারা গ্রাম সংলগ্ন চিংড়া(চৌদুলি পাড়া)এলাকায় নতুন বছরে নতুন শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে।প্রায় দুশোর বেশি শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

এইরকমই আরও কিছু কাজের নিদর্শন হল দুর্গাপূজার মরশুমে বস্ত্র বিতরণ , দল বেঁধে ডেঙ্গু অভিযান, শারীরিক প্রতিবন্ধী দের বস্ত্রদান, তথাকথিত পথ শিশুদের পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ,  প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ ইত্যাদি।

কথায় আছে আনন্দ ভাগ করে নিলে দ্বিগুণ হয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে উপহার পাওয়ার খুশি অপেক্ষা উপহার দেওয়ার খুশি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই দীর্ঘস্থায়ী খুশি পাওয়ার লোভ সংবরণ করা কঠিন নয় কী? তাই তো মানবিকতা আস্তে আস্তে অনেককেই এই কর্ম এ সামিল করে এগিয়ে চলেছে। তবে এর সূচনা লগ্ন থেকে যারা এই সংস্থার সাথে আছেন তাদের কথা না বললেই নয়।  তারা হলেন অমলেশ চৌধুরী, রবিউল ইসলাম মিলটন,মহাসিন গাজী,আমিনা খাতুন, রাকিব হাসান,কবিতা বিশ্বাস, শুভ মন্ডল,বাপ্পা দাস,সোমশ্রী সরকার ,মেঘনা বসু এবং আরও অনেকে

rabiul-content

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...