প্রতিদিন এক কোয়া রসুন বদলে দিতে পারে শরীরের হালচাল। একদিকে যেমন শরীরকে শক্তিশালী করে তোলে ভিতর থেকে তেমনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং একাধিক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দেয়।
রসুনে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন বি৬। রসুনে রয়েছে বেশ কয়েকটি মিনারেল। যেমন: ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, পটাশিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন।
রসুনের অ্যালিসিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেলেনিয়াম ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। হৃদরোগ ও উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধ করে।
এতে রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ, যা বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে। হজমের ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরের ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমায় ও কোষের বিভিন্ন ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। রসুন প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ইউরিন ইনফেকশন কমায়। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ভূমিকা রাখে।
রসুন বিভিন্ন হরমোনাল অসামঞ্জস্যতা প্রতিরোধ করে। শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মেনোপজের সময় রসুন খেলে উপকার পাওয়া যায়। রসুনে থাকা নানা উপাদান পুরুষদের ফার্টিলিটির সমস্যা ঠিক করতে সাহায্য করে। এটি টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায় এবং শুক্রাণুর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
তবে প্রজনন ক্ষমতা গর্ভাবস্থায় রসুন না খাওয়া ভালো। ডায়রিয়া, বমি বা বুক জ্বালা হলে রসুন বিপদ। অনেকের রসুনে এলার্জি থাকে, তাদের রসুন খাওয়া নিষেধ।