স্বপ্ন ছিল দূরত্বের বাধা ঘুচিয়ে একসঙ্গে সুখে থাকবেন তাঁরা। কিন্তু সফল হলনা যাত্রা। অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন লন্ডনের চিকিৎসক প্রতীক যোশী, স্ত্রী কোমি ব্যাসও তাদের তিন সন্তান। বিমান ছাড়ার আগে তাদের একসঙ্গে তোলা একটি সেলফি বর্তমানে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দুচোখে স্বপ্ন নিয়ে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন দূরদেশে, কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছান হল না তাদের।
চিকিৎসক জোশী দীর্ঘ ৬ বছর ধরে লন্ডনে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী কোমি ব্যাসও রাজস্থানের এক বেসরকারী হাসপাতালের চিকিৎসক। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে সময় পেলেই দেশে আসতেন প্রতীক। প্রতীকের বাবা চিকিৎসক জেপি যোশী জানিয়েছেন, প্রতীক তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে পাকাপাকিভাবে লন্ডনে চলে যেতে চেয়েছিলেন। এই কারণে যাত্রার দুদিন আগে বউমা কোমি ব্যাস উদয়পুরের হাসপাতাল থেকে পদত্যাগও করেন। তাদের পাঁচ বছরের যমজ ছেলে নকুল ও প্রদ্যুৎ এবং আট বছরের মেয়ে মিরায়াও এই যাত্রা নিয়ে প্রচণ্ড উত্তেজিত ছিল। এমনকি নতুন দেশে স্কুলে ভর্তির জন্য নিজেদের নতুন স্কুলব্যাগও কিনেছে তাঁরা।
কিন্তু সফল হলনা তাদের একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন। বৃহস্পতিবার সর্দার বল্লভভাই পটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার অভিশপ্ত এআই ১৭১ বিমানটি। কিন্তু উড়ানের পর মাত্র ৬২৫ ফুট উচ্চতায় উঠেই বিমানটি লোকালয়ে ভেঙে পড়ে। শেষ হয় শত শত স্বপ্ন।