ফুচকা ভেন্ডিং মেশিন

আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞেস করি আপনাদের। আপনাদের মধ্যে থেকে কে কে ফুচকা খেতে ভালোবাসেন? কেউই নিশ্চয়ই না বলবেন না। না বলার তো কোনো প্ৰশ্নই ওঠেনা। বিশেষ করে মেয়েরা তো ফুচকা পেলে বোধহয় আর কিছুই চায়না। আমি মেয়েদের উদ্দেশ্য করেই মূলত বলছি। তবে আজকাল ছেলেরাও পিছিয়ে নেই এই ব্যাপারে। রাস্তায় ফুচকাওয়ালার স্টল দখলেই বোঝা যায়, মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গে ছেলেদেরও ভিড় লেগে থাকে সেখানে।

     তবে আমার মত কিছু মানুষও নিশ্চয়ই আছে, যারা একটু খুঁতখুঁতে। যতই লোভনীয় খাবার হোক না কেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না হলে তা খাবার মত অভিপ্রায় হয় না। তাদের জন্য এসেছে সুখবর। ফুচকাও হবে আবার তাতে নোংরামির ছিটেফোঁটাও থাকবেনা। এক্কেবারে হাইজিনিক উপায়ে তৈরী হবে ফুচকা। তাও আবার হয় নাকি? ভাবছেন তো? সত্যিই হচ্ছে। আমাদের দেশেরই বেশ কিছু জায়গায় অভিনব উপায়ে এই রকম ফুচকা তৈরী করে বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।

'মিস্টার পানিপুরি' তৈরী করছে আধুনিক ও অভিনব পদ্ধতিতে তৈরী ফুচকা  এবং তা বিক্রি হচ্ছে ঝড়ের গতিতে তা বলাই বাহুল্য। আহমেদাবাদের 'ওয়াটার শটস' সংস্থা প্রথম শুরু করেছে অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে ফুচকা  তৈরী করার পদ্ধতি। গত বছর থেকে গুজরাটে ব্যবসা শুরু করেছে মিস্টার পানিপুরি এবং এ বছর তারা বেঙ্গালুরুতে এসেছে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে। স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে সুস্বাদু মুখরোচক বিক্রি নজর কেড়েছে এবং মন ভুলিয়েছে সকলেরই। সংস্থার সূত্রে জানা গেছে এই ধরণের একটি মেশিন নির্মাণে ৬ লাখ টাকার প্রয়োজন।

        এই ধরণের ভেন্ডিং মেশিনের সাহায্যে ফুচকার নির্মাণ আমাদের সকলেরই মন জয় করেছে বলাই যায়। যেমন এই তিন জায়গায় যথেষ্ট সাফল্যের সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে মেশিনের ফুচকা, আমরা আশা রাখব আমাদের শহরেও এই রকম মেশিন চালু হবে এবং আমরা তারিয়ে তারিয়ে হাইজিনিক ফুচকা খাব।

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...