পৌষ অমাবস্যাকে ‘বকুল অমাবস্যা’ বলা হয় কেন?

আজ পৌষ অমাবস্যা। ২০২৪ সালের প্রথম এবং পৌষ মাসের শেষ অমাবস্যা তিথি। এই অমাবস্যা তিথিকে বলা হয় ‘বকুল অমাবস্যা’৷ দিনটির গুরুত্ব এবং মাহাত্ম্যও প্রচুর৷ ১০ জানুয়ারি  বুধবার রাত ৮.১০-এ অমাবস্যা তিথি শুরু হয়েছে। ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫.২৬ পর্যন্ত থাকবে।

‘বকুল অমাবস্যা’র পুরো নাম আম্রবকুল অমাবস্যা। এই সময় থেকেই ধীরে ধীরে আমের বকুল দেখা দিতে শুরু করে। তিথির এই  রূপ নামকরণের  তাৎপর্য হল এই যে- আসন্ন গ্রীষ্মে যে সুমিষ্ট ফলপ্রাপ্তি ঘটবে, তার সম্ভাবনা শুরু হল । এই দিনটি থেকে সাধক ভাবী কালের সুসিদ্ধাবস্থার ভাবে জাগ্রত হয়ে এই কঠোরতম তান্ত্রিক সাধনায় বৃত হয়। আবার সাধক সাধনায় পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়ে পুনরায় ফলহারিণীতে নিজ সর্বসিদ্ধি কালীতে সমর্পণ করে দেন।

পৌষ অমাবস্যায় কালী পুজোর মাহাত্ম্য তাই আলাদা মাত্রা রাখে। পৌষকালীর পুজোয় পৌষালী মমতাময়ী রূপে ধরা দেন দেবী৷ তাঁর পুজোয় ভক্তি ভরে উৎসর্গ করা হয় মূলো৷ নির্দিষ্ট তিথি ছাড়াও পৌষমাসের শনি ও মঙ্গলবারে দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। শীতকালীন এই সবজি পৌষকলীর পুজোর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উপাচার৷ বাংলার প্রায় সবকটি সতী পীঠেই এদিন বিশেষ পুজো ও মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয়। পূণ্যস্নান ও দানকার্যের জন্য এই দিনটি বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ওড়িশায় বিশেষভাবে পালিত হয় এই তিথি জগন্নাথের বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পালিত হয় ‘বকুল লাগি’ উৎসব। আমের মঞ্জরী নিবেদন করা হয় দারুদেবকে। আম চাষিরা ভাল ফলনের আশায় আম গাছের প্রথম ফুল নিবেদন করেন দেবতাকে। ক্ষীর, পিঠে বানিয়ে গৃহদেবতাকে নিবেদন করা হয়। আম গাছকেও পুজো করা হয়।

পৌষ অমাবস্যা তিথিতে ভোরে পবিত্র নদীতে পুণ্যস্নান বিধেয়৷ এই তিথিতে সূর্যার্ঘ্য নিবেদনের পাশাপাশি পিণ্ডদান ও পিতৃতর্পণও করা হয়৷ অমাবস্যার দিন দানধ্যান ও পুণ্যস্নানের শুভ সময় হল বৃহস্পতিবার ভোর ৫.৫৭ মিনিট থেকে সকাল ৬.২১ পর্যন্ত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...