জয়নগরের মোমরেজগড়ে কিভাবে গড়ে উঠল পাঁচুগোপাল মন্দির?

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় অবস্থিত জয়নগর। জয়নগরের এক এলাকা মোমরেজগড়ে প্রতিষ্ঠিত পাঁচুগোপাল মন্দির।

এই মন্দিরের এক বিশেষত্ব আছে। সেটা হল এই মন্দির সংলগ্ন মাঠে ১০১ বছর ধরে মাঘ মাসে মেলা বসে। আর সেই মেলার সমস্ত আয়োজন করেন হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। এই মেলা খুবই বিখ্যাত। দেখা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা ছুটে আসেন এই মেলা ঘুরতে। তবে, শুধু মেলা ঘুরতে নয়, পাঁচুগোপাল মন্দিরে পুজো দিতেও আসেন বহু ভক্তরা।

বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার মধ্যে পড়ে জয়নগর। সেই এলাকার এক নম্বর ব্লকের গোয়ালবেড়িয়াতে পড়ে মোমরেজগড় গ্রাম।

সেই এলাকাতেই একজন নামকরা মানুষ ছিলেন, যার নাম ছিল মোমরেজ মোল্লা। সেখান থেকেই এই এলাকার নাম হয় মোমরেজগড়। জানা গিয়েছে যে তাঁর স্ত্রীয়ের নাম ছিল ক্ষিরোমণি। তিনি ছিলেন হিন্দু বংশের কন্যা। এরপর স্ত্রীর পরামর্শে গ্রামে পাঁচুগোপাল মন্দির তৈরি করেছিলেন মোমরাজ মল্লা।

কিন্তু পাচুঁগোপাল মন্দিরে কার পুজো হয়? জানা গিয়েছে সেই মন্দির তৈরির পর গোপালের পুজো করা হয়। তাঁকে কেন্দ্র করেই মাঘ মাসে একটি মেলা বসে। 

মন্দির তৈরির পর গোপালের পুজোকে কেন্দ্র করে মাঘ একটি মেলা বসে। গত মঙ্গলবার সেই উৎসবের ভীড় উপচে পড়েছিল এলাকা জুড়ে। মন্দিরের রাস্তাজুড়ে দু’ধারে এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাঠে বসেছে রকমারি দোকান। পুজো ও মেলা ঘিরে সেজে উঠেছে গোটা এলাকা।

মন্দিরের পাশে একটি পুকুর রয়েছে। সেখানে স্নান করে ভিজে কাপড়ে দণ্ডি কাটার প্রথা রয়েছে। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার দূরদূরান্ত থেকে মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।এছাড়া মন্দিরের কাছে প্রাচীন তালগাছ আছে। জানা গিয়েছে যে সেই গাছের শিকড় দিয়ে তৈরি হয় মাদুলি। প্রত্যেক ভক্তদের বিশ্বাস যে ওই মাদুলি ধারণ করলে সকলের রোগমুক্তি ঘটবে।

এই মেলার উৎসব গভীর রাত পর্যন্ত চলে এবং এই মেলা ‘পাঁচুগোপালের মেলা’ নামেই সকলের কাছে পরিচিত।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...