‘স্বপ্নসন্ধানী’-এ বছর আগামী উনত্রিশে মে ছাব্বিশ পূর্ণ করে সাতাশে পা দেবে। দলটি বছরে দুটি নাটক প্রযোজনা করে। সে-দুটি পরিচালনা করেন দলের কর্ণধার কৌশিক সেন। এবার অবশ্য নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে। কৌশিক পরিচালনা করবেন একটি নাটক, অন্যটি দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। ‘স্বপ্নসন্ধানী’র ছাব্বিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম দলের বাইরের কোন পরিচালকের হাতে নাট্যপরিচালনার ভার তুলে দিচ্ছেন কৌশিক। এখন প্রশ্ন হল, কেন দিচ্ছেন?
দেবেশ নাট্যপরিচালক হিসেবে বিভিন্ন নাট্যদলের হয়ে কয়েকবছরে আমাদের মুগ্ধ করেছেন ‘ফ্যাতাড়ু’, ‘সূর্য পোড়া ছাই’, ‘উইঙ্কল টুইঙ্কল’, ‘ভালো মানুষ’-এর মতো অসাধারণ সব নাটক উপহার দিয়ে। নাট্যপরিচালনায় তাঁর আস্থা ‘মেথড অ্যাক্টিং’-এ, কৌশিকের ঝোঁক ‘সাইকোলজিক্যাল অ্যাক্টিং’-এ। ‘স্বপ্নসন্ধানী’র ছেলেমেয়েরা যাতে অভিনয়ের ক্ষেত্রে এই দুই পদ্ধতিতেই স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠতে পারেন, তাই জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত নাটক ‘১৯৮৪’-র পরিচালনার দায়িত্ব কৌশিক তুলে দিয়েছেন দেবেশের হাতে। এতে প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে থাকবেন উজ্জ্বল মালাকার।
কৌশিকের আর একটি কৃতিত্ব, কবি শ্রীজাতকে দিয়ে আস্ত একটি নাটক লিখিয়ে নেওয়ায়। নাটকের নাম, ‘তারা ভরা আকাশের নীচে’। এই নাটিকটিই কৌশিক পরিচালনা করবেন। প্রোটাগনিস্টের চরিত্রে থাকবেন ঋদ্ধি সেন।
In English

