এবারের শীতে সেরা আকর্ষণ নলেন গুড়ের পেস্ট্রি!

কেইন নামে এক ইংরেজ ভদ্রলোক উনবিংশ শতাব্দীতে লিখেছিলেন, ‘মিষ্টান্নপ্রীতি বাঙালিদের জাতীয় দুর্বলতা’। মিষ্টি পেলে তারা আর কিছুই চায় না। আসলে মিষ্টি নিয়ে বাঙালি বড়ই স্পর্শ কাতর। যতরকম খাওয়া আছে তার মধ্যে মিষ্টি তাদের সবচেয়ে প্রিয়। মিষ্টি নিয়ে তাদের সঙ্গে পাল্লা দেবে এমন আর কোনও জাতি পৃথিবীতে নেই। বারো মাসে তেরো পার্বণ আর পার্বণ, পার্বণ ঘিরে মিষ্টির রকম ফের। ঋতু বদলালেই বদলে যায় মিষ্টির পদও। বারোমেসে মিষ্টির সঙ্গে যোগ হয় আরও নানারকম। যেমন তাদের নামের বাহার তেমন স্বাদেরও। মিষ্টির ব্যাপারে সেরা ঋতু শীত।

Screenshot (433)

শীত মানেই নলেন গুড়। গায়ে ঠাণ্ডা ছোঁয়া লাগতে শুরু করলেই বাঙালি দিন গুনতে শুরু করে কবে দেখা পাওয়া যাবে তার। গুড় তো অনেক আছে, কিন্তু নলেন গুড় বাঙালির শীত-বিলাসের অঙ্গ। নিমন্ত্রণ বাড়িতে পাতে দেওয়া রসগোল্লা কিংবা সন্দেশের গায়ে লালচে আভা দেখলেই নলেন গুড়ের জন্য মনকেমন, আসল নলেন গুড়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয় বেশ কিছুটা। শীত যত জাঁকিয়ে পড়ে তত বাড়ে নলেন গুড়ের স্বাদ।

gur-rosogolla-kc-das-cropped-1546500975

নলেন গুড়ের আকর্ষণে নতুন সংযোজন নলেন গুড়ের পেস্ট্রি। দেখতে সাদা রঙের ওপরে সোনালী গুড়ের রেখা। ডিসেম্বর-বড়দিন কেক পেস্ট্রির। সেখানেও নলেনগুড়ের ছোঁয়ায় এবারের বড়দিন হয়ে উঠতেই পারে স্পেশ্যাল। পেস্ট্রি ছাড়াও আছে নলেন গুড়ের কেক। বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিকের আশ্চর্য আবিষ্কার নলেন গুড়ের কেক আর পেস্ট্রি। এছাড়া আছে নলেন গুড়ের সুফলে এবং ডেজার্ট। তবে নলেন গুড়ের মধ্যে যারা নিখাদ বাঙালিয়ানা খোঁজে তাদের জন্য আছে এক এবং অনন্য নলেনগুড়ের জলভরা। সন্দেশে ছানার পরত ভাঙলেই ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে নলেন গুড়। এছাড়া আছে নলেন গুড়ের চন্দ্রপুলি, শঙ্খ সন্দেশ, নলেন গুড়ের বেকড রসগোল্লা।

শিউলিগ্রামে এখন দারুণ ব্যস্ততা। অনেকেই রওনা হয়ে গিয়েছে শহরের উদ্দ্যেশ্যে। অতএব মিষ্টান্নপ্রাণ বাঙালি হয়ে উঠতে আর আটকাচ্ছে কে!

  

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...