টিকার অভাবে কেউ যেন রোগাক্রান্ত না হয়

আগামী ১২ডিসেম্বর দিল্লিতে দুদিনব্যাপী যে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের টিকা কর্মসূচী 'ইন্দ্রধনুষ' প্রকল্পকে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের সর্বত্র এই ইন্দ্রধনুষ প্রকল্প কিভাবে সফল হয়েছে তা বিশ্বের ৩২টি দেশের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরা হবে। 'আয়ুষ্মান ভারত' বীমা প্রকল্পকেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে তুলে ধরে ভারতের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সরকারি উদ্যোগের কথাও  জানানো হবে।  মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য উন্নয়নে ভারত কি কাজ করছে, তাও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে। বিজ্ঞানভবনে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রোগ প্রতিরোধের জন্য ১০০ শতাংশ টিকাকরণ হল কেন্দ্রের টার্গেট। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে অনুযায়ী ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ শিশু এবং ৮৬ লক্ষ গর্ভবতীকে রোগ প্রতিরোধ টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রসবকালীন মৃত্যু, নবজাতক এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী বাচ্চার মৃত্যুর হারও প্রচুর হারে কমেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ১৯৯০ সালে যেখানে প্রতি এক লক্ষে প্রসবকালীন মৃত্যু হত ৫৫৬ জনের, ২০১৬ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩০। আগামী ২০২০ সালের মধ্যে তা ১০০ তে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। গত তিন বছরে টিকাকরণের হার সাড়ে ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টিকার অভাবে কেউ যেন রোগাক্রান্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলাই যায়, এইভাবে গুরুত্ব সহকারে দেশের শিশুদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খেয়াল রাখলে অবশ্যই ভারত শিশুরোগমুক্ত দেশে পরিণত হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ভারতকে সম্পূর্ণ পোলিও রোগমুক্ত দেশের তকমা দেওয়া হয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...