পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবার দীঘায়, আসছে স্বয়ং জগন্নাথ দেব!

ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে এক কথায় রাজি হয়ে যাওয়ার ডেস্টিনেশনই হল ‘পুরী’। সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে সমুদ্রসৈকতের কাছে। পুরীতে গেলেই সবাই জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে যায়। অনেকে আবার জগন্নাথ ধামে তীর্থও করতে যাঅ। ঠিক তেমনি অন্যদিকে আরও এক সহজ ডেস্টিনেশন রয়েছে, সেটা হল ‘দিঘা’। সমুদ্র সৈকত এই এলাকায় বছরের অধিকাংশ সময় পর্যটকদের ভিড় দেখা যায়। রাজ্য, দেশ এমনকি বিদেশ থেকেও এখানে পর্যটকদের আগমন ঘটে । পর্যটকরা এখানে দিঘা ছাড়াও ঘুরে দেখার সুযোগ পান, যেমন মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর। এবার সেই দীঘাতেই তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলেই ‘জগন্নাথ ধাম’। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন। ভক্তদের হাতের কাছে চলে আসছে স্বয়ং জগন্নাথ দেব!

সেখানের নির্মাণের কাজ চলছে জোরকদমে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতার ইচ্ছেতেই তৈরি হচ্ছে এই ধামটি। খুব শ্রীঘ্রই দর্শনার্থিদের জন্য এই মন্দিরটি খুলে দিতে চাইছেন রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।

দীঘাতে এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে এলাকার মান, সৌন্দর্য্য এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করতে। পুরীর মতনই দীঘাও হয়ে উঠবে এক ধর্মীয় স্থান। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পটির জন্যে কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা আশাপ্রকাশ করছেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি এই ধর্মীয় স্থানটি তাদের জন্যে খুলে দেওয়া হোক। সেই কথায় প্রশাসন আশা দিয়েছেন যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই, মানে লোকসভা ভোটের আগেই এই মন্দির পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার আশা দিচ্ছেন।

নিউ দিঘা রেলওয়ে স্টেশনের পাশে ভগীব্রহ্মপুর মৌজার কাছেই তৈরি হচ্ছে এই জগন্নাথ ধামটি। এই মন্দিরটি হুবহু পুরীর জগন্নাথ ধামের মতনই তৈরি হচ্ছে। দু’টি মন্দিরেরই উচ্চতা হবে সমান অর্থাৎ ৬৫ মিটার। হিডকোর তত্ত্বাবধানে চলছে কাজ। এই মন্দিরটি ২০ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে। এখানে রাজস্থানের বংশী পাহাড়পুরের বেলেপাথর ব্যবহার করা হচ্ছে। পুরীর মতো এখানেও থাকছে ভোগ ঘর, বসার ঘর, রথ রাখার জায়গাও। পুরীর মন্দিরের সাথে দিঘার মন্দিরের মধ্যে একটাই পার্থ্যক্য হল যে পুরীতে মূর্তিগুলি নিম কাঠ দিয়ে তৈরি হয়, আর দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের মূর্তিগুলি হবে মার্বেল পাথরের।

দীঘার এই জগনাথ ধামের অপেক্ষায় গোটা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটক সহ জগন্নাথ ভক্তরা!