বিজ্ঞানের ছাত্র কিশোর রাজ বর্মনের গলায় সুর চিনেছিলেন প্রয়াত গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য্য

হিন্দিতেও ‘ বোলে চুড়িয়া’, ‘সনক’ ‘লাভ হ সেল’, ‘ চেহরা’, ‘দ্য আনটাচেবল’ এর মতো হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন।  বাংলাতেও তাঁর গাওয়া গানের লিস্ট বেশ আকর্ষণীয়। এখন তাঁর প্রতিদিন কাটে কলকাতা-মুম্বই ব্যস্ততায়।  অথচ গানের দুনিয়ায় আসার তেমন কোনও পরিকল্পনা ছিল না!

কথা হচ্ছে সঙ্গীত শিল্পী রাজ বর্মনকে নিয়ে। তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন প্রয়াত গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য। সেই গল্পও তাঁর গানের লিস্টের মতোই ইন্টারেস্টিং!

কলকাতায় জন্ম। এই শহরেই বেড়ে ওঠা। ছিলেন বিজ্ঞান আর বাণিজ্যের ছাত্র। কোনদিন প্ল্যান ছিল না গানের জগতে আসার। আর পাঁচজনের মতোই স্কুলে যাওয়া, পড়াশোনা খেলার মাঠ এই ছিল জীবন। ক্রিকেট খেলতে ভালোবাসতেন। পড়াশোনা চলত। ক্লাস টেন অবধি বিজ্ঞানের ছাত্র। তারপর কমার্স।

gggggggg

বাড়িটা ছিল রঙতুলির দুনিয়া। বাবা-মা দুজনেই চিত্রকর। সেই নিয়ে মেতে থাকত পরিবার। তার মধ্যেও রাজকে টানত সুর। গান গাইতেন। একবার সেই গান রেকর্ড করে তাঁর মা শোনায় শিক্ষক বিশিষ্ট গায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যকে। গান শুনে উনি পরামর্শ দেন  সিরিয়াস গান চর্চার ব্যাপারে। বারো বছর বয়সে গান গাওয়ার শুরু।

সেই শুরু। নবম শ্রেণীর ছাত্র রাজের সেই প্রথম গান দুনিয়ায় পা রাখা। চল তে লাগল চর্চা রেওয়াজ। স্কুলের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে লাগলেন।  হার-জিত মিলিয়ে চলেছিল সেই পর্ব। প্রদীপ জ্বালানোর আগে যেমন সলতে পাকানোর পর্ব চলে অনেকটা তেমন।

রেকর্ডিঙ-এর শখ ছিল কিছুটা তার টানেই শুরু করেন বাড়ি তে গান রেকর্ডিং। ২০২৬ তে ইউটউবে একটা গান পোস্ট করেন। ‘তেরে সঙ্গ ই ইয়ারা’। তারপর আরও গান। সাবস্ক্রাইবার আর পরিচিতি দুই বাড়তে লাগল ধীরে ধীরে। বাংলা ছবি ‘একা এবং একা’তে  প্রথম নেপথ্য গান।  সুযোগ এল ‘নূরজাহান’-এ গান গাওয়ার। ‘সোনা বন্ধু’ খুব জনপ্রিয় হল। পু রস্কার ও পেয়েছিলেন তার জন্য। বেস্ট মেল প্লেব্যাক টেলি সিনে অ্যাওয়ার্ড। পরপর আরঈ বাংলা ছবির গান গাইবার সুযোগ। যেন রাতারাতি বদলে গেল জীবন। নেপথ্যে প্র্যাকটিস আর প্র্যাকটিস। ‘হানি মুন, রাজা-রানী রাজী’, ‘খোলাখুলি বলতে গেলে’ , ‘নীল জানালা’, ‘অস্কার’।

মুম্বইতে কাজ শুরু হল ২০২১-এ। সিঙ্গেলস, ছবির গান।  তবে আসল মুম্বই  জীবন শুরু হল ‘জিৎ’ সংস্থা থেকে কল পাওয়ার পর। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির ছবি ‘বলে চুড়িয়’র জন্য গানের প্রস্তাব পেলেন। দু-দুটো গান।   সেই জোড়া গান গাওয়ার পরো হল চুক্তি। তারপর চলতে লাগন আএব সাগরের তীরে ন তুন সফর। একের পর এক গান, ব্যস্ততা, আএ নতুন নতুন স্বপ্ন ছোঁয়ার যুদ্ধ।

বাংলা, হিন্দি আর  আর নিজের ডিজিটাল দুনিয়ায় তিন জায়গায় কাজ করে চলেছেন সমান তালে। দিল্লির গায়িকা দীপশিখার সঙ্গে জুটিতে  তাঁর গান ‘রয়না ভাইরাল হয়েছিল নেট দুনিয়ায়। ম্যাশ-আপ সিরিজও করেছিলেন তাঁর সঙ্গে। দুশো মিলিয়নের ভিউ মিলেছিল। ‘আনটাচেবল’ ওয়েবসিরিজে ‘জিনে দেনা’ মন ছুঁয়েছিল দর্শক শ্রোতাদের। তাঁর মিউজিক ভিডিয়োর দর্শক মিলিয়ন ছোঁঁয়া।

হিন্দিতে কাজ করেছেন সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আহসা রাখেন বাংলাতেও করবেন তাড়াতাড়ি।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...