‘কাবুলিওয়ালা ও কাবুলিওয়ালা তোমার ঝুলিতে কী আছে?’
কাবুলিওয়ালা নাম শুনলেই মনে ভেসে ওঠে মিনি আর রহমতের টুকরো কথার স্মৃতি। আফগানিস্তানে সন্তান সংসার ফেলে কলকাতা শহরে ঠাঁই নিয়েছিল রহমত। এ শহরের এক কন্যার মুখে খুঁজে পেয়েছিল নিজের মাটিতে ফেলে আসা ঘর আর কন্যার স্মৃতির ছায়া। মিনি আর রহমত বড় আপন হয়ে উঠেছিল বাঙালির। তাদের বন্ধুত্ব আর বিচ্ছেদ দুই কাঁদিয়েছিল দর্শককে।
রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ‘কাবুলিওয়ালা’ অবলম্বনে ১৯৫৭ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল তপন সিনহা পরিচালিত ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’। তপন সিনহার পরিচালনায় তৈরি এই ছবিতে কাবুলিওয়ালার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ছবি বিশ্বাস। মিনি টিঙ্কু ঠাকুর।তারপর ১৯৬২তে হিন্দিতেও ‘কাবুলিওয়ালা’ প্রযোজনা করেন বিমল রায় ও লীলা দেশাই। কাবুলিওয়ালার চরিত্রে ছিলেন বলরাজ সাহানি।
দীর্ঘ ৬৬ বছর পর বড়পর্দায় ফিরছে ‘কাবুলিওয়ালা’। নস্টালজিয়াকে ফিরিয়ে আনছেন সুমন ঘোষ।‘কাবুলিওয়ালা’ এবার মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি মুক্তি পাবে ক্রিসমাসের মরসুমে। ছবির ফার্স্টলুক সামনে এল আজ। মাথায় পাগড়ি, কাঁধে ঝোলা, চোখে সুর্মার টান, মিঠুনের রহমত লুক নিয়ে ইতিমধ্যেই সিনেমাপ্রেমীদের শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনাও। অবধারিতভাবে উঠে আসবে ছবি বিশ্বাস বনাম মিঠুনের তুলনাও।
১৯৬৫ সালের প্রেক্ষাপটে তৈরি হচ্ছে ছবি। শুরু হয়ে গিয়েছে শুটিং। কলকাতা ছাড়াও লাদাখে ছবির শুট হওয়ার কথা। শোনা যাচ্ছে আফগানিস্তানেও হতে পারে।
‘নোবেল চোর’ এর পর 'কাবুলিওয়ালা' ছবিতে ফের সুমন ঘোষের সঙ্গে কাজ করতে চলেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এখানে মিনির মা বাবার চরিত্রে সোহিনী সরকার এবং আবির চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। মিনির ভূমিকায় একেবারে নতুন কাউকে দেখা যাবে। ছবিতে মিউজিকের দায়িত্বে ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত।
‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিটির প্রযোজনা করছে এসভিএফ এবং জিও স্টুডিওজ। এগারো বছর পর আবার একসঙ্গে মিঠুন এসভিএফ-ও।