লিভারপুলকে হারিয়ে এফএ কমিউনিটি শিল্ড জিতল ম্যান সিটি

ইউরোপের ফুটবল মরশুম শুরু হয়ে থাকে এফএ কমিউনিটি শিল্ডের মাধ্যমে। ইংরেজদের বিশ্বাস, যে এই শিল্ড জিতলে গোটা মরশুমে কোনও না কোনও একটি খেতাব নিশ্চিত আসবেই। প্রথমবার এই কমিউনিটি শিল্ড মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি লিভারপুল এবং গত মরশুমের দুর্ধর্ষ ঘরোয়া পারফর্মেন্সকে বজায় রেখে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে আবারও শিল্ড দখল করল পেপ গার্ডিওয়ালার দল

প্রাক-মরশুমে একেবারেই ভালো ফর্মে ছিল না লিভারপুল, আর মরশুমের প্রথম ম্যাচে তা স্পষ্ট দেখা গেছে। ১২ মিনিটে লিভারপুলের প্রাক্তনী রাহিম স্টার্লিং এর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। দাভিদ সিলভার মাটি ঘেঁষা ক্রসে পা ছুঁইয়ে স্টার্লিং মরশুমের প্রথম গোল আদায় করলেন। ডিফেন্সের এমন অবস্থা দেখে রেগে যান লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার গোল করার পরেও প্রথমার্ধে ম্যান সিটির মুহুর্মুহু আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যাচ্ছিল ভ্যান ডাইকরা, কিন্তু শেষ অবধি বিপদ তেমন বাড়েনি।

তুলনামূলকভাবে দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করছিল সালাহ, ফিরমিনোরা। কিন্তু গোলমুখ খুলছিল না। শেষপর্যন্ত লিভারপুলের উইঙ্গব্যাক জোয়েল মাটিপ হেডে গোল করে সমতায় ফেরান লিভারপুলকে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে ওয়েম্বলির অধিকাংশ দর্শক, তার কারণ সিটির তুলনায় লিভারপুলের সমর্থকেরা ছিল সংখ্যায় বেশি। শেষপর্যন্ত - ফলে থাকায় ম্যাচে একেবারে গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। লড়াই এবার দাঁড়ায় দুই গোলরক্ষক অ্যালিসন ক্লদিও ব্রাভোর উপর।

প্রথম পেনাল্টিতে লিভারপুল এর জাদ্রান শাকিরি সিটির ইকে গুন্ডোগান গোল করেন। কিন্তু দ্বিতীয় পেনাল্টি মিস করেন লিভারপুল এর ভার্জিল ভ্যান ডাইক, অপরদিকে গোল করে সিটিকে এগিয়ে দেন বার্নার্ডো সিলভা। তৃতীয় চতুর্থ পেনাল্টিতে দুই দলই গোল করে। পঞ্চম অন্তিম পেনাল্টিতে সালাহ লিভারপুল এর হয়ে গোল করলেও শেষ পেনাল্টিতে গোল করে নায়ক বনে যান গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...