'সুপারহিরো ফিল্ম' বা 'সাইফাই মুভি' এই দুটি শব্দ শুনলেই সকলেই হলিউডের মার্ভেল বা ডিসি ইউনিভার্সের কথা মনে পড়ে। ভারতে এই ধরনের ছবি খুব কম তৈরি হয়। তবে এবার ভারতে তৈরি হয়েছে নতুন 'সুপারহিরো ইউনিভার্স'। নাম 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র'। পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায় তাঁর এই ড্রিম প্রোজেক্টের কথা ঘোষণা করেছিলেন ২০১৪ সালে। তারপর প্রায় সাত বছর পর ছবির ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে। ট্রেলারে ছবির ভিএফএক্স দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। নেপথ্যে ভিএফএক্স সংস্থা 'ডিএনইজি'। যদিও এই প্রথম নয়, এর আগে মার্ভেল, ডিসি, জুরাসিক ওয়ার্ল্ডের মতো জনপ্রিয় ছবিতে তারা ভিএফএক্স-এর কাজ করেছেন। 'ডুন', 'টেনেট', 'ফাস্ট ম্যান', 'ব্লেড রানার ২০৪৯', 'এক্স-ম্যাচিনা', 'ইন্টারস্টেলার' এবং 'ইনসেপশন'-এর মতো ছবিতে ভিএফএক্স কাজের জন্য সাতটি একাডেমি পুরস্কার জিতেছে তারা। 'স্টার ট্রেক: ডিসকভারি', 'চেরনোবিল' এবং 'ড্রিমকিপার'-এর মতো ছবিতে ভিএফএক্সের কাজের জন্য এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তারা। 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র' তাদের প্রথম ভারতীয় প্রজেক্ট।
ছবির গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র'। এই অস্ত্র সম্পর্কে আমরা সকলে রামায়ণ ও মহাভারতে শুনেছি। তবে শুধু মাত্র 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র' নয়, রয়েছে আরও অনেক ধরনের অস্ত্র। প্রত্যেক অস্ত্রের আলাদা আলাদা শক্তি রয়েছে। যেমন- অভিনেতা নাগার্জুনের অস্ত্রের নাম 'নন্দী অস্ত্র'। সেই অস্ত্রে এক হাজার 'নন্দী'র শক্তি রয়েছে। তবে ছবির মূল চরিত্র অর্থাৎ শিবার কোনও অস্ত্র নেই। কারণ তিনি নিজেই একটি অস্ত্র যার নাম 'অগ্নি অস্ত্র'। ছবিতে শিবার গুরুর ভূমিকায় দেখা যাবে বলিউডের বিগ-বি অমিতাভ বচ্চনকে। বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে অমিতাভের। আরও একজন দক্ষিণী তারকা এই ছবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ইনি হলেন পরিচালক রাজামৌলি। যদিও ছবির পরিচালনার দায়িত্বে তিনি নেই। কিন্তু কন্নড়, তেলেগু, তামিল এবং মালায়লাম ভাষায় ছবিটি উপস্থাপন করছেন রাজামৌলি।
একজন পরিচালক হিসেবে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের তৃতীয় ছবি এটি। আগে 'ওয়েক আপ সিড' ও 'ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি'র মতো সুপারহিট ছবির পরিচালনা করেছেন তিনি। কিন্তু তার আগের ছবিগুলো থেকে সম্পূর্ণ আলাদা 'ব্রক্ষ্মাস্ত্র'। অ্যাকশনের পাশাপাশি চমৎকার ভিএফএক্স-এর কাজ দেখানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। যা বহু দর্শকদের ভালো লেগেছে। তবে ছবি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত অয়নের পরিচালনার ভালো বা খারাপ দিকগুলি খুঁজে বার করা সত্যিই মুশকিলের।