বালগোপালের প্রিয় মিষ্টি: মোহনথাল

বলব মোহনথালের কথা। নাম শুনেই হয়ত আন্দাজ করে ফেলেছেন এর মাহাত্ম্য। তাও বলে রাখি ছাপ্পান ভোগের সুখিলা ভোগের এক বিশেষ মিষ্টি মোহনথাল। এই মিষ্টির এক বিশেষত্ব হল শুধু শিশু গোপাল নয় ব্রিজের মদনমোহন ও প্রাপ্তবয়স্ক জগন্নাথদেবের বেজায় প্রিয় এই মিষ্টি নিত্য ভোগের এক বিশেষ পদ। কিন্তু এই নামের এক বৈশিষ্ট্য আছে। আগে সেই কথাই বলব পরে রেসিপি।

Mohanthal1

বৃন্দাবনের ব্রজবাসীরা মদনমোহনকে এই বিশেষ ভোগ নিবেদন করেন জন্মাষ্টমীতে। মদনমোহনের প্রিয় তাই এই নাম মোহনথাল। নাথদ্বারার শ্রীনাথজীর মন্দিরে ‘গোপালের বাল্যভোগে’ এই মিষ্টি থাকবেই। আর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে এই ভোগ সন্ধ্যাধুপ ভোগে নিবেদন করা হয়। খুব সহজেই নামমাত্র উপকরণ দিয়েই তৈরী হয় এই মিষ্টি। এবার সেই রেসিপি বলব।

উপকরণ: ১ কাপ মোটা দানা বেসন, কাজু বাদাম, আলমন্ড, ১ কাপ মিছরি, দুধ (প্রয়োজনমত), ঘি। শ্রী মন্দির বা বৃন্দাবন কোথাও চিনি ব্যবহার হয় না, গুড় ও মিছরির ব্যবহার হয়।

Mohanthal2

প্রণালী: শুনে মনে হতেই পারে বেসনের দানা কি করে মোটা হবে? তাহলে আগে সেই পদ্ধতি বলি। কড়াইতে ২ টেবিল চামচ দুধ ও ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করে ১ কাপ বেসনের মধ্যে দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরী হবে মোটা দানা বেসন। এবার দুধ দিয়ে ওই বেসন মেখে একটা ডোও বানিয়ে ১/২ ঘন্টা রাখতে হবে। অন্যপাত্রে ১ কাপ মিছরি ও ২ কাপ জল দিয়ে হাইফ্লেমে ফুটিয়ে রস বানাতে হবে। এবার ২ টেবিল চামচ ঘি গরম করে তার মধ্যে ওই মেখে রাখা বেসনের ডোও ১০ মিনিট ধরে ভাল করে ভেজে বেসনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তারমধ্যেই খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভাল করে মিনিট পাঁচেক ধরে মিশিয়ে দেওয়ার পর, তার মধ্যে রস দিয়ে মিডিয়াম ফ্লেমে মিশ্রণটি একটু শুকিয়ে নিতে হবে। একটা পাত্রে ঘি ব্রাশ করে তার মধ্যে ওই মিশ্রণ কড়াই থেকে নামিয়ে ঘন্টা দুই রেখে ঠান্ডা করলেই তৈরী জগন্নাথ স্বামী ও মদন মোহনের প্রিয় মোহনথাল। তবে কাজু আর আলমন্ড কুচি দিয়ে গার্নিশ করে বরফি বা চৌকো আকার দিতে ভুলবেন না। রইল রেসিপি, গোপালকে বাল্যভোগ দিন বা মদনমোহনকে ভোগ- কৃপাধন্য হতে পারেন আপনিও।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...