জীবন বদলাতে জেনে নিন শ্রী শিরডি সাঁইবাবার উপদেশ

‘সব কা মালিক এক হ্যায়’

সবার মালিক এক ঈশ্বর একজনই। তাঁর কাছে ধনী দরিদ্র ভেদাভেদ নেই। মনপ্রাণ দিয়ে ডাকলে সাড়া দেন তিনি। ভক্তের ডাকে দূরে থাকতে পারে না।

বলেছিলেন শিরডির সাইঁবাবা। ধন দৌলতের ওপর ঈশ্বর ভক্তি নির্ভর করে না। করে মনের ওপর। নিষ্ঠা ভরা সেই ডাকে অন্ধকারেও তেল ছাড়া জ্বলে ওঠে প্রদীপ। দূর হয় মনের অন্ধকার।

সৎ জীবনযাপন, সৎ পথে চলা, সত্য কথা বলা, নির্লোভ মন- এই পাঠই তিনি দিয়েছিলেন ভক্তদের।

১৮৩৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেছিলেন সাঁইবাবা, ভক্তদের সাঁইরাজ। প্রচলিত বিশ্বাস, ব্রাক্ষ্মণ ঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তিথি সুফি সাধক হয়ে ওঠেন। আহমেদনগরের শিরডিতে পৌঁছে লোক মধ্যে তাঁর বাণী দিয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন তিনি।তাঁর জন্মস্থান নিয়ে যদিও বিতর্ক আছে। কিন্তু তাঁর মত পথ নিয়ে কোনও দ্বিধার অবকাশ নেই।

IMG-20231206-WA0020

ভক্ত মনোবাঞ্ছাপূরণ করেন তিনি। তাঁর মতে, মানুষের হওয়া উচিত পদ্মের মতো। সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পদ্ম ফুটে যায়, তার পাপড়িগুলি প্রস্ফুটিত হতে শুরু করে। মানুষ যেখানেই জ্ঞান ও শিক্ষার আলো দেখবে, সেখানেই যেন নিজেকে পদ্মের মতো মেলে ধরে। জ্ঞানের মাধ্যমে জীবনে বহু দিশা পাওয়া যায়।

সাইঁ সাধারণত কোনও পুজো পদ্ধতি বা জীবন দর্শনের প্রচলন করেননি। এক ঈশ্বর ও শ্রদ্ধা-সবুরির বিশ্বাসের ওপর জোর দেন তিনি। তবে তাঁর একাদশ উপদেশ ভক্তদের কাছে দর্শন শাস্ত্র। এই একাদশ উপদেশের মধ্যে জীবনের সমস্ত সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে। আধ্যাত্মিকতার শিক্ষা লুকিয়ে রয়েছে তাঁর এই উপদেশের মধ্যে।

তিনি বলতেন সব মানুষ এক। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে যে কেউ তাঁর ভক্ত হতে পারত। বৃহস্পতিবার সাইঁ বাবার বিশেষ পুজো করা হয়ে থাকে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী টানা সাত বৃহস্পতিবার তাঁর পুজো করলে মনের ইচ্ছেপূরণ হয়। নিরামিষ আহার করতে হয় ওইদিন। ভোরে উঠে স্নান করে বা সন্ধ্যেবেলা স্নান করে সাইঁ বাবা মূর্তি বা ছবিতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে হলুদ কাপড় পরাতে হয়। সাদা বা হলুদ ফুল দিয়ে পুজো হয় তাঁর। অনেকে লাল গোলাপ দিয়েও পুজো করে থাকেন।  ষে বেসনের লাড্ডু বা অন্য হলুদ রঙের মিষ্টির ভোগ নিবেদন হয়।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...