জন্মদিনে সুরের জগতে অজানা কেকে-র স্মৃতিচারণায়…

জন্মদিন মানেই উদযাপন। জন্মদিন মানেই চারিদিকে খুশির আমেজ। কিন্তু আজ যার জন্মদিন সেই সুর সম্রাট পাড়ি দিয়েছেন তারাদের দেশে আকস্মিকভাবে। তাঁর সুরের সফর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল এই তিলোত্তমার বুকেই। তাঁর গলার সুর মুগ্ধ করেছে হাজার হাজার শ্রোতাদের মন। শহরের বুকে হাজার হাজার মানুষ তার গলায় গাওয়া শেষ গান শুনেছিলো নজরুল মঞ্চে দাঁড়িয়ে। কেউ জানতোনা, মুহূর্ত বা ‘পল’ থমকে যাবে সেখানেই। আজ তাঁর জন্মদিন। সুর সম্রাট কেকে-র জন্মদিন। জন্মদিনে তার সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক কিছু জানা অজানা কথা। স্মৃতির সাগরে ডুব দিয়ে কুড়িয়ে নেওয়া যাক হাজার সুমধুর মুহূর্ত।

1692780132945

তাঁর পুরোনাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। তাঁর জন্ম মালায়ালি পরিবারে। ২৩শে আগস্ট, ১৯৬৮ সালে জন্ম তাঁর। বিবাহ ডোরে বাঁধা পরেন তিনি ১৯৯১সালে। তারপর কেকে মায়ানগরী মুম্বাইতে চলে আসেন। জানলে অবাক হতে হয় যার গানের গলায় মুগ্ধ গোটা ভারতবাসী তিনি নাকি প্রথাগত সুর-শিক্ষার বেড়াজালে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেননি কখনোই। তার পড়াশোনা দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাল কলেজ থেকে। বাণিজ্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে হসপিটাল ইনডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন কেকে। বিবাহের পরেই তাঁর সুরের জগতে বিচরণ শুরু হয়।

শুধু দু-একটি ভাষায় নয়, মালয়ালি, তামিল, তেলেগু, হিন্দি, কন্নড়,গুজরাতি ভাষার মতো ১১টি ভাষায় গান গেয়েছেন কেকে।কিন্তু শুরুর পথটা এতটা মসৃন ছিলোনা মোটেও। বিজ্ঞাপনী জিঙ্গেলস গেয়ে তাঁর গানের জগতে পা ফেলা। একাধিক নামী সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন কেকে। এ আর রহমানের গানে প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে প্রথম কাজ করেছিলেন কেকে। তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘পল’ বেশ ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ‘ইয়ারো’ ও ‘পল’ তার কর্মজীবনের অন্যতম সেরা দুটি অ্যালবাম।

মজার বিষয় হল এক স্বাক্ষাৎকারে গায়ক কেকে জানান, তিনি মালয়ালি হলেও মাত্র একটি মালয়ালি গান গেয়েছেন তাঁর গোটা সঙ্গীত জীবনে।

কিশোর কুমার -এর প্রথাগত কোনো সুর-শিক্ষা ছিলোনা। সেই কথা জানতে পেরে কেকে-ও সেই পথ অনুসরণ করেন। আগে থেকেই তাঁর গানের ক্লাসে যেতে ভালো লাগতোনা। তিনি এক স্বাক্ষাৎকরে এ কথাও জানান যে, কেবলমাত্র শুনে শুনেই তিনি গান মনে রাখতেন।

গান ছাড়াও ক্রিকেট ফ্যান ছিলেন গায়ক কেকে। তার গাওয়া ‘জোশ অফ ইন্ডিয়া’ গানে ভারতীয় দলের ঝলক মেলে। বিশ্বকাপের মরশুমে ভারতীয় দলের সমর্থনে কেকে এই গান গেয়েছিলেন।

স্রষ্টা চলে গেলেও রেখে যান তাঁর অমর সব সৃষ্টিকে। কখনোই শিল্পী এবং তাঁর সৃষ্ট শিল্প বিলীন হতে পারেনা। তাঁরা থেকে যান, তাঁরা ছাপ রেখে যান তাঁদের সৃষ্টির মাধ্যমে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...