কেরালার এই আশ্চর্য গ্রামে ঘরে ঘরে যমজ

যে দিকে তাকাবে সবুজ জল আর নারকেল গাছের সারি। ধানের মরসুমে সবুজ হয়ে থাকে মাঠের পর মাঠ। দুরন্ত নৈসর্গিক টানে কেরালার এই গ্রাম বারবার মুগ্ধ করেছে পর্যটকদের। গ্রামের নাম কোদিনহি। কিন্তু শুধুমাত্র ফটোনেজিক ল্যান্ডস্কেপ আর স্ট্রেস রিলিফের ডেস্টিনেশন বললে কেরালার মাল্লাপুরম জেলার গ্রাম কোদিনহির পরিচয় শেষ হয়ে যায় না।

c4e27ecb-e1ce-4211-ba43-694c16360180

গোটা বিশ্বের জেনিটিক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু এই গ্রাম। কারণ এই গ্রামে পা রাখা মাত্র ভাল করে খেয়াল করলে দেখা যায় একই রকম সব মুখ। জোড়ায় জোড়ায় একই রকম মানুষ। না কোনও ভুতুড়ে ঘটনা নয়। 

২০০৭ সালের  হিসেবে ২০০০ জনের মধ্যে ৫৭০ জন যমজ এবং প্রতি বছর তার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই গ্রাম “টুইন টাউন বা ভিলেজ অফ টুইন্স” নামেও পরিচিত। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে এই গ্রাম জায়গা করে নিয়েছে।

পরিসংখ্যানের নিরিখে ভারতে প্রতি ১ হাজার নবজাতকের মধ্যে ৯ জোড়া যমজ সন্তান। কেরলের এই গ্রামে তা প্রতি হাজারে ৪৫।

IMG-20231122-WA0015

কোদিনহি গ্রামের প্রায় ঘরে ঘরে এমন যমজ সন্তানের কারণ কী?

এই ঘটনার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি গবেষকরা। ২০১৬ সালে গবেষকদের একটি দল এসেছিল কোদিনহি গ্রামে। হায়দরাবাদের সিএসআইআর-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউসার বায়োলজি, কেরল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড ওশিয়ান স্টাডিজসহ লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানি থেকে গবেষকরা এসেছিলেন। তাঁরা এই গ্রামের বহু যমজের লালারস ও চুলের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ সামনে আসেনি।

গ্রামের এক জোড়া যমজ কন্যার সূত্রেই বিষয়টি সামনে আসে। তারা দেখে তাদের স্কুলেই রয়েছে ২৪ জোড়া যমজ। পরে আরও খোঁ জ নিয়ে দেখা যায় ওই গ্রামে মোট ২৮০ জোড়া যমজ রয়েছে। তৈরি হয় TAKA। অর্থাৎ ‘দ্য টুইনস অ্যান্ড কিন অ্যাসোসিয়েশন’। এই সংগঠনের কাজ কোদিনহির সমস্ত যমজের জন্য সহায়তা প্রদান করা।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...