'কন্যাশ্রী' এবার বেসরকারি স্কুলেও

কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই বিশ্ববন্দিত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার মেয়েরা পায়ের তলার জমি খুঁজে পেয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পে পড়াশুনো শুরু করার পর,  গ্রামে মেয়েরা নিজেরাই পরিবার থেকে সম্বন্ধে করা বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। ফলে শুধুমাত্র টাকা পাওয়াই নয়, সামাজিক উন্নয়নেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে সরকারি এই প্রকল্পটি।

     এবারে আরও একটি সুখবর। সরকারি স্কুলের পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরাও কন্যাশ্রী পাবে। এই মর্মে রাজ্য সরকার জেলায় জেলায় নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। কন্যাশ্রী প্রাপক ছাত্রীর পারিবারিক আয়ের ঊর্দ্ধসীমাও তুলে দেওয়া হচ্ছে। তাই সব ছাত্রীরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবে। কে১, কে২ এবং কে৩ প্রকল্পে অষ্টম থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়ুয়ারা কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাবে। আগে কন্যাশ্রী পেতে হলে ছাত্রীর পারিবারিক আয় বছরে দেড় লক্ষ টাকার নিচে থাকতে হত। নতুন নিয়মে পারিবারিক আয়ের ঊর্ধ্বসীমা কিছুই থাকছেনা। তাই সমস্ত ছাত্রীরাই এই প্রকল্পের আওতায় আসবে।

      বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের প্রকল্পের আওতায় আসতে হলে স্কুলের ছাত্রীরা প্রথমে অনলাইনে আবেদন করবে। এরপর জেলা প্রশাসন থেকে বেসরকারি স্কুলের নাম পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য সরকার ওই বেসরকারি স্কুলের নাম কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য অনুমোদন করলে ওই স্কুলকে একটি রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপরই ওই বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীরা কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবে। এই খবরে যারপরনাই খুশির আবহাওয়া বইছে বেসরকারি স্কুলগুলিতে। প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানান, কন্যাশ্রী প্রকল্প সামাজিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে। আগে নাবালিকা বিয়ের হার বেশি ছিল। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। কন্যাশ্রী প্রকল্পে মেয়েদের পড়াশুনো শুরু হওয়ায় বাবা-মা মেয়েদের কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছেননা। কারন ১৮ বছর বয়স হলেই মেয়েরা ২৫ হাজার টাকা পাবে। তাই মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার হার যথেষ্ট বেড়েছে। দ্বিতীয়তঃ স্কুল ছুটের সংখ্যাও কমেছে। গ্রামীণ এলাকার মেয়েরা সপ্তম, অষ্টম বা দশম শ্রেণীর পরেই পড়াশুনো ছেড়ে দিত। এই প্রকল্প আসার পর তাদের উচ্চাকাঙ্খা বেড়েছে।

    একথা অনস্বীকার্য, কন্যাশ্রী প্রকল্পের ফলে গ্রামে গ্রামে মেয়েদের শিক্ষায় এগিয়ে হার বেড়েছে। এবারে বেসরকারি স্কুলেও যদি কন্যাশ্রী চালু করা যায়, তাহলে মেয়েদেরকে সমাজের মূলস্রোতে এগিয়ে দিতে তা যথেষ্টই সাহায্য করবে।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...