সেজে উঠছে স্কুলবাড়ি

ছোট থেকেই স্কুল যাওয়া নিয়ে বড় অনীহা সকল খুদের। আর তাই একবার যেই ছুটি মেলে আর স্কুলে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে না। পুজোর একমাসের ছুটির পর ভাইফোঁটার পরে যখন স্কুল খোলে তখন খুদে থেকে শুরু করে বড়রাও একবার হলেও গাঁইগুই করে থাকে। স্কুলজীবনের একঘেয়েমি কাটানোর জন্য অনেক স্কুলেই এবার থেকে নতুন করে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

 

ময়ূরেশ্বরের নং ব্লকের অন্তর্গত বাজিতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমকে কার্টুন মডেল দিয়ে সাজানো হচ্ছে স্টুডেন্টদের কথা মাথায় রেখে। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের স্টুডেন্টদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে নিম্নবিত্ত ঘরের দরিদ্র ছেলেমেয়েরা কিংবা তফসিলি উপজাতির ছেলেমেয়েরা।প্রথম থেকেই অভাব অনটনের সংসারে থাকার ফলে পড়াশোনার দিকে বিশেষ আগ্রহ এদের কোনোদিনও তৈরী হয় না। এই কথাটি যে সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা কিন্তু নয়।প্রতিবছর আমরা মাধ্যমিক কিংবা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে জেলার ছেলেমেয়েদেরই উল্লেখযোগ্য রেজাস্ট করতে দেখি। কিন্তু বয়সে ছোট হওয়ার কারণে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আগ্রহ তৈরী না হওয়াটাই স্বাবাবিক তাদের যাতে স্কুলে আসতে ভালো লাগে তার জন্যই স্কুলের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ।

 

স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর জন্য বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে চারজন শিল্পীকে নিয়ে আসা হয়েছে। পুজোর সময় স্কুল বন্ধ। সেই সময়টাকেই কাজে লাগানো হয়েছে এই নবীকরণের জন্য। পুজোর ছুটির পর যখন ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে ফিরবে তখন যাতে তারা আলাদা অনুভূতি পায় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।বর্তমান যুগে যেখানে ক্লাসরুমগুলিকে স্মার্টক্লাস বানানো হচ্ছে সেখানে দাঁড়িয়ে এই স্কুলের এই অভিনব উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...