কোভিড রুখতে সম্মুখ সমরে দুই বাঙালিনী

কোভিড রুখতে সম্মুখ সমরে দুই বাঙালিনী

ব্রিটেন, আমেরিকার মতো ক্ষমতা ধর রাষ্ট্র করোনাকে কাবু করতে এখনও ব্যর্থ। আক্রান্ত এবং মৃত ব্যক্তির পরিসংখ্যান এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অন্যান্য দেশ গুলোতেও আতঙ্কের আবহ। তার মধ্যেই অন্য নজির তৈরি করল নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ঘোষণা করলেন, ' করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণ ভাবে সম্ভব হয়েছে নিউজিল্যান্ডে'।

এই দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু শনাক্ত হয়নি— এমন একটি ঘটনাও নেই। নিউজিল্যান্ড করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জয়ী হয়েছে। আজ মধ্যরাতে দেশ জুড়ে শিথিল করা হবে লক ডাউন। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে নাগরিকদের। নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড জানিয়েছেন, তাদের দেশ 'ভাইরাস নিমূর্ল করার' যে লক্ষ্য নিয়েছিল, তা পূরণ করতে পেরেছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পেরেছে।
ব্লুমফিল্ড বলেন, তাঁদের দেশের একজন রোগীও যে নেই, এমন নয়। কিন্তু রোগীর বিশদ তথ্য তাঁদের কাছে আছে। সোমবার করোনা ভাইরাসে একজন নতুন ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে, একজনের মৃত্যুও হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দেড় হাজরের কম। আক্রান্ত ৮০ ভাগ রোগী এখন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। মার্চের শেষে নিউজিল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। সমস্ত বর্ডার সিল করে দেওয়া হয়। র্যাপিড টেস্ট, আইসোলেশন এবং সফল ভাবে লক ডাউন মেনে চলাই করোনা প্রতিরোধে নিউজিল্যান্ডের সাফল্যের রহস্য বলে জানিয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...