চলতি বছরে গত বৃহস্পতিবার থেকে নদিয়া জেলার কল্যাণীতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব অনুষ্ঠিত হল। বিগত দু’বছর ধরে দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
কল্যাণী সেন্ট্রাল পার্কের ভাষা উদ্যানে শুরু হয়েছিল এই উৎসব। পাঁচদিন ধরে চলেছে এই ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব। দুই বঙ্গের শিল্পীরা নৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করে দর্শকদের মন জয় করেছেন।
এই সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিস সরকার এক সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন, "বাংলা ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে, আর অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এই পরিকল্পনা। এবার আমরা নদী বাঁচাও পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছিলাম। যে কারণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পঞ্চনদীর জলের মিলন নামে একটি ছোট্ট প্রয়াস নিয়েছি আমরা। ঢাকার পদ্মা, খুলনার রূপসা, আর বাংলায় গঙ্গা, চূর্ণী এবং জলঙ্গীর জল মিলিত হয়েছে এই অনুষ্ঠানে।"
শুধু এপার বাংলা নয় ওপার বাংলা থেকেও একাধিক গণ্যমান্য বেক্তিরা এসেছিলেন। একেবারে চাঁদের হাট বসেছিল এই ৫টা দিন!
বাংলাদেশ বেতারের উপস্থাপক দিলরুবা খানম ছুটি জানিয়েছেন, "বাংলা ভাষা এমন একটা ভাষা যার নামে একটা গোটা দেশ রয়েছে। আর ভারতের মত বিশাল দেশে যখন এই বাংলা ভাষা নিয়ে অনুষ্ঠান হয় তখন আমাদের সত্যিই গর্ববোধ হয়।"
অন্যদিকে নড়াইল থেকে কল্যাণীতে এসেছিলেন সমাজসেবী সৈয়দ খায়রুল আলম। তিনি বলেছেন, "দুই বাংলার সাহিত্য, শিল্প, সংস্কৃতির প্রচুর মিল রয়েছে। আমরা ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।"
শুধুমাত্র কল্যাণী নয়, বিশ্বমৈত্রী সংস্কৃতি পরিষদের সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন যে এই অনুষ্ঠান পশ্চিমবঙ্গের ১২টি জেলা জুড়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জানা গিয়েছে যে ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর, শান্তিনিকেতন এবং ঢাকায় আয়োজিত হয়েছে এই ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব।