বিশ্বের সবচেয়ে প্রগতিশীল শহর হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু

একটি আমেরিকান কোম্পানি জোনস ল্যাং ল্যাসেল নামের আন্তর্জাতিক আবাসন কোম্পানির করা রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ১২৯ টি প্রগতিশীল দেশের মধ্যে হায়দ্রাবাদ সবচেয়ে প্রগতিশীল শহর হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ঠিক তার পরেই জায়গা করে নিয়েছে বেঙ্গালুরু। চেন্নাই রয়েছে পঞ্চম এবং দিল্লি ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

                    সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বেঙ্গালুরু এবং হায়দ্রাবাদ বিশ্বের পরিচিত দুটি শহর। মূলত আবাসনে বেশি জোর দেওয়ায় এবং আবাসন শিল্পে বিনিয়োগ বেশি হওয়ায় হায়দ্রাবাদ সামগ্রিকভাবে সকলকে টেক্কা দিয়ে গেছে বলেই শনিবার জানিয়েছে জেএলএল। অতিরিক্ত স্টক-এর আনুপাতিক তুলনায় ২০১৯-এর অফিস নেট শোষনের দিক দিয়ে হায়দ্রাবাদ সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। প্রাইম অফিস ভাড়া করার ক্ষেত্রেও হায়দ্রাবাদ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ স্থানে রয়েছে। ভারতের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ শহর বিশ্বের প্রথম ২০টি প্রগতিশীল শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এই শহরগুলির মধ্যে উত্তরের তুলনায় দক্ষিণের শহরগুলিই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক এবং ব্যসায়িক দিক দিয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে বলে ওই সমীক্ষায় প্রকাশ। কলকাতা এবং মুম্বই রয়েছে যথাক্রমে ১৬ এবং ২০ তম স্থানে। দেশের অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও শহরের এমন সমীক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে।

                   জেএলএল ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড তথা সিইও রমেশ নায়ার জানান, দক্ষিণ ভারতের শহরগুলিতে কমার্শিয়াল রিয়েল এস্টেট ব্যবসা যথেষ্ট দ্রুত গতিতে এগিয়েছে। ২০১৯ সালে হায়দ্রাবাদের এই ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি বেঙ্গালুরু প্রযুক্তির দিক দিয়ে প্রচুর উন্নতি করেছে। রাজ্য সরকারের তরফে ব্যবসার উপযুক্ত প্ৰকল্পগুলি এক্ষেত্রে হায়দ্রাবাদকে এগিয়ে যেতে যথেষ্ট সাহায্য করেছে। তেলেঙ্গানার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী কে টি রামা রাও জানান, হায়দ্রাবাদ শুধুমাত্র প্রথম স্থান অধিকার করেছে এমনই নয়, তা টেক্কা দিয়েছে শেনজেন এবং সাংহাই-এর মত শহরের সঙ্গে যা যথেষ্ট গর্বের। প্রথম ২০র মধ্যে যে সমস্ত শহর হয়েছে, তারা তথাকথিত শহুরে চালচলন ছেড়ে লো-কার্বন ভবিষ্যতের দিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। হায়দ্রাবাদ নতুন আবাসন নীতিতে এয়ার কন্ডিশনের ব্যবহার কমানোর জন্য ঠান্ডা ছাদের প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে, যা সূর্যরশ্মির কবল থেকে ছাদকে রক্ষা করে ঠান্ডা রাখবে, যার ফলে ঘরে এসি -র প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে। এর পাশাপাশি রয়েছে মাইক্রো মোবিলিটি। এর ফলে শহরের মানুষ বেশি গাড়ি বা বাইক ব্যবহার না করে অনেকে একসঙ্গে এক গাড়িতে যাতায়াত করছেন। এছাড়াও স্মার্ট বাইক এবং ইলেকট্রিক কার এর মাধ্যমে শহরের দূষণ কমানোর চেষ্টা হচ্ছে।

                    

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...