বাঁচুন ওয়েদার চেঞ্জের হাত থেকে

দুর্গাঠাকুর জলে পড়ার সাথে সাথে পরিবর্তন আসতে শুরু করে আবহাওয়ায়। মৌসুমী বায়ু ঘরে ফিরে যাওয়ার সাথে সাথে হালকা ঠান্ডা পড়তে শুরু করে দিয়েছে। টান ধরতে শুরু করেছে ত্বকে।এইসময়ে দাঁড়িয়েই শরীরেই থাবা বসায় নানা রোগ। জ্বর সর্দি কাশি এই সময় প্রতিটি বাড়ির গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাড়িতে শিশু কিংবা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে তারাই বেশি ভুগে থাকেন এই সময়ে। কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত এই সময়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক...............

 

এইসময়ে যেসব রোগগুলি এইসময়ে হানা দেয় তাদের মধ্যে অন্যতম দুটি রোগ হলো ব্রঙ্কাইটিস, চিকেন পক্স। এই দুটি রোগই সঠিক চিকিৎসার অভাবে মারাত্মক রূপ নিতে পারে। ব্রঙ্কাইটিস যেমন ফুসফুসকে আক্রান্ত করে থাকে তাই ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে এই সময়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকা উচিত। শিশুর জন অতিরিক্ত যত্ন প্রয়োজন। শিশুর সামনে ধূমপান যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। ডাস্ট অ্যালাৰ্জির সমস্যা থাকলে এইসময়ে মাস্ক লাগিয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করা উচিত। নিয়মিত প্রাণায়াম, যোগব্যায়াম প্রভৃতির অভ্যেস করা ভালো। এর ফলে ফুসফুসে রক্ত চলাচল খুব ভালো হয়ে থাকে। প্রাণায়াম সবসময় ভালো ফল দেয় তা কিন্তু নয়। ভুলভাবে প্রাণায়াম করলে সমস্যা বাড়তে পারে। চিকিৎসকেরা শিশুদের প্রাণায়াম করার কোনোরূপ পরামর্শ দেন না। এইসময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করার অভ্যেস ত্যাগ করে ভালো। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ব্রঙ্কাইটিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য শুধু ওষুধপত্তর খেলেই চলবে না এর সাথে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন অত্যন্ত জরুরি।

 

বসন্তকালে এই রোগের আবির্ভাব বেশি হয় বলে একে বসন্ত রোগও বলা হয়ে থাকে। সঠিক চিকিৎসা না হলে এই রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই পক্সের দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিৎ। কিন্তু প্রিভেনশন ইজ অলওয়েজ বেটার দ্যান কিওর।তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক পক্স এড়াতে কি কি করবেন। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। যেমন এই সময় অতিরিক্ত ফ্যাটযুক্ত মাংস অর্থাৎ রেডমিট এবং ফুল ফ্যাটযুক্ত দুধ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। চকোলেট, বাদাম বা বীজজাতীয় কোনো খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলতে বলছেন চিকিৎসকেরা। এইসমস্ত খাবারে উপস্থিত আরজিনিন নামক একধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড চিকেন পক্সের বাড়বাড়ন্তের সহায়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সংক্রমণ রোধ করার জন্য এইসময় নিমপাতা ভেজানো জলে স্নান করা ভালো।

 

আবহাওয়া বদলের সাথে সাথে জ্বর সর্দি কাশিও হয়ে থাকেএইসময় এসি যতটা সম্ভব কম চালানো উচিৎঠান্ডা লাগলে তাকে অবহেলা না করে গায়ে হালকা চাদর জড়িয়ে নিলে শরীরও রক্ষা পাবে আর তার সাথে কমফোর্টও পাওয়া যাবে 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...