সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের কাছে সেরা কেন?

কম্পিউটার সায়েন্স অঙ্কের মতো। যত অভ্যাস তত সহজ। সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের কাছে এই কথা মন্ত্রের মতো। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ইউনিট এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথে এগিয়ে দিচ্ছে বিশদে জানালেন বিভাগীয় অধ্যাপক ডঃ সৈকত মাইতি

তাঁর ভাষায়, কম্পিউটার সায়েন্স এবং তার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর আরও যে সমস্ত ভাগ আছে তার প্রত্যেকটাই নির্ভর করছে মার্কেট পরিস্থিতির ওপর। চাকরি, গবেষণা আর এন্টারপ্রেনারশিপ এই তিন দিক মাথায় রেখেই ছাত্রছাত্রীদের জানতে হবে আগামীর সম্ভাবনা। ভবিষ্যতে কোন কোন টেকনোলজি আসতে চলেছে, কোন কোন টেকনোলজির চাহিদা আছে, কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ করলে তারা সেই জ্ঞান ও লক্ষ্যে পৌঁছতে  পারবে- এই সব দিক মাথায় রেখেই তৈরি হওয়া দরকার। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্কের পাশাপাশি ওয়ানালিটিক্যাল অ্যাপ্টিচিউট এবং রিজিনিং এই ব্যাপারগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা তৈরি হয়ে এলে পরবর্তী সময় পেশাদারী দুনিয়ায় চলতে সুবিধা হবে।

এই বিশ্ব বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রছাত্রীদের কাছে সেরা। কেরিয়ার গড়তে বিশ্বমানের সব সুবিধা তারা এখানে পেয়ে থাকে। শিক্ষকরা নিরলস পরিশ্রম করে থাকেন ছাত্রছাত্রীদের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করে তুলতে।

কম্পিউটার সায়েন্স কি খুব শক্ত বিষয়? অধ্যাপক মাইতির ভাষায়, পৃথিবীর যে কোনও ভাল জিনিসই খুব সহজ নয়। কম্পিউটার সায়েন্সও সেরকমই একটি বিষয়। এটি অঙ্কের মতো। যত অভ্যাস করবে তত সহজ হবে। এখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য নিয়মিত মাস্টারক্লাস লেকচারের হয়ে থাকে। মোটিভেশন, টিম স্পিরিট যাতে গড়ে ওঠে সেদিকে খেয়াল রাখা হয়। এছাড়া বেশ কিছু ক্লাব আছে। ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে কোডিং, স্কিল, এআই, রোবোটিক চর্চা হয়ে থাকে। উদ্যোগ ছাত্রছাত্রীদের। পড়াশোনা ছাড়াও সার্বিক উন্নতি যাতে হয় উদ্দেশ্যে এটাই। ভবিষ্যতে বিদেশে পড়তে গেলেও কাজে লাগে এই চর্চা। দেশ বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় প্লেসমেন্টের সুযোগ পায় ছাত্রছাত্রীরা। টিসিএস, গুগল, আমাজন এর মতো সংস্থাতেও। ১৫০ বেশি সংস্থা আসে ক্যাম্পাসিং-এ। পরিশ্রম আর মেধাই এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রধান অস্ত্র। 

ছাত্রছাত্রীদের ভাষায় এই বিশ্ববিদ্যালয় রত্ন খনির মতো। প্রজেক্ট করার জন্য সব রকম সুবিধা ও সাহায্য পাওয়া যায়। যতটা তারা শেখে ততটাই প্রয়োগ করতে পারে হাতে কলমে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...