রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগ মজবুত হতে চলেছে

দেশের প্রথম ১০টি মেডিক্যাল কলেজের মধ্যে জায়গা করে নিতে সারা দেশের সেরা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো দেখতে বেরিয়েছে রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পিজি-র প্রতিনিধি দল। তিনদিনের এই পরিদর্শনে দেশের অন্যতম সেরা চিকিৎসা ও মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিজিআই চন্ডিগড়ে যান পিজি হাসপাতালের শীর্ষকর্তা, কয়েকটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং পূর্ত দফতরের পদস্থ আধিকারিকেরা। পাতিয়ালা এবং এইমস পরিদর্শনেও গিয়েছে পিজির আরেকটি প্রতিনিধিদল। এছাড়া লখনৌয়ের এসপিজিআইতেও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে গিয়েছে পিজির চিকিৎসকদের একটি টিম। শীর্ষ মানের প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি, পেশাদারিত্ব এবং কাজ সঠিকভাবে করার কৌশল একযোগে করতে পারলে তবেই দেশের প্রথম ১০টি মেডিক্যাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারবে। বিষয়টি নিয়ে পিজির অধিকর্তা মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা এবং মেডিক্যাল শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতির জন্য প্রতিনিধি দল বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন।

   রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বিভিন্নভাবে নিজেদের উন্নতি করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় সব মিলিয়ে তিনজন সহ উপাচার্য পেতে চলেছে। গত ১২ এপ্রিল একজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ১৫০টিরও বেশি স্বাস্থ্য পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে সল্টলেকস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এলোপ্যাথি পাঠ্যক্রম দেখার জন্য একজন সহ উপাচার্য রয়েছেন। ডেন্টাল এবং নার্সিং শাখা একসঙ্গে দেখার জন্য এবং আয়ুষ শাখার পাঁচটি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিতে নজরদারির জন্য আরও একজন সহ উপাচার্য নিযুক্ত করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের মধ্যেই তিনজন সহ উপাচার্য রাখার সংস্থান রয়েছে। এতদিন শুধুমাত্র একজন সহ উপাচার্য দিয়েই কাজ চালানো হচ্ছিল, বাকি দু'জনের পদে অফিসার-ইন-চার্জ নিয়োগ করে ঠেকনা দেওয়ার কাজ চলছিল। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব বাড়ছে, তাই এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত বলে মানে করেন আয়ুর্বেদ অফিসার-ইন-চার্জ প্রদ্যোৎবিকাশ কর মহাপাত্র

   রাজারহাটে চালু হতে চলেছে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টারের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, নতুন ক্যাম্পাসের ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, বাকি রয়েছে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনা এবং চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া। আশা করা হচ্ছে ভোটের পর পরই চালু হয়ে যাবে নতুন ওই ক্যাম্পাস। বেসরকারি হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসার খরচের পরিমান ব্যয়সাপেক্ষ হলেও রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানে দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়। তাই দ্বিতীয় ক্যাম্পাসটি হলে রাজ্যের বহু মানুষের চিকিৎসার সুবিধা হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের এক কর্তা জানান, আল্ট্রা সোনোগ্রাফি, সাধারণ রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে প্রভৃতি পরীক্ষা এখানে বিনামূল্যে করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাও এখানে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...