জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট-এর প্রধান ক্যাম্পাসে ‘প্লেসমেন্ট ফেয়ার- ২০২৩’

স্কুল জীবনের শেষ আর কলেজ জীবনের শুরু। মাঝখানের এই সন্ধিক্ষণ প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর জীবনেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সময় থেকেই শুরু হয়ে যায় কোন দিকে যাবেন জীবন। সঠিক কেরিয়ার বেছে নেওয়ার চিন্তা শুরু হয় অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। তারপরও থেকে যায় প্লেসমেন্টের চিন্তা। অ্যাকাডেমিক জীবনের পাশাপাশি অনেকেই বৃত্তিমূলক কোর্সের এগোয়।

ছাত্রছাত্রী  চাকরি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে দিশা দেখাতে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট-এর (George Telegraph Training Institute) উদ্যোগে তাদের শিয়ালদহ মেইন ক্যাম্পাসে আয়োজিত হল ‘প্লেসমেন্ট ফেয়ার- ২০২৩। বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সত্তরটির বেশি সংস্থা উপস্থিত ছিল সেখানে।

জর্জ টেলিগ্রাফ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত দত্ত জানিয়েছেন, ১৯২০ সালে হরিপদ দত্ত জর্জ টেলিগ্রাফ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন। ১০৩ বছর ধরে জর্জ টেলিগ্রাফ ছাত্রছাত্রীদের জীবনে দিশা দেখিয়ে আসছে। সেই জন্যই বলা হয় জর্জ টেলিগ্রাফ জীবন গড়ে দেয়। তখন হরিপদ দত্ত যে কোর্সগুলি শুরু করেছিলেন সে সমস্তই ছিল চাকরিমুখী কোর্স। পাস করার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থায় পেশা প্রবেশ ঘটত তাঁদের। এখন সময় বদলেছে, কিন্তু বদল আসেনি এই ট্রাডিশনে। প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন নতুন কোর্সের সংযোজন করেছে। সেই সব কোর্স করে ছাত্রছাত্রীরা জীবনে প্রতিষ্ঠাও পাচ্ছে। সারা বছর ধরে চলে প্লেসমেন্ট পর্ব। ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের পাশাপাশি, অফ ক্যাম্পাস ইন্টারভিউ, প্লেসমেন্ট ফেয়ার হয়। ইনস্টিটিউটের ৭২ কেন্দ্রে চলে। ছাত্রছাত্রীদের সমগ্র কর্ম জীবন জুড়েই থেকে যায় এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পর্ক। জীবনে উন্নতির জন্য তাদের পাশে থাকে প্রতিষ্ঠান। প্লেসমেন্ট ফেয়ারে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায়।

ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর অপারেশনস অনিন্দ্য দত্ত জানিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার শেষে ভাল চাকরির সুযোগ করে দেওয়া এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও ঐতিহ্য।

১০০টির ওপর সংস্থা অংশ নিয়েছিল দু'দিন ব্যাপী প্লেসমেন্ট ফেয়ারে। ৯০০ ছাত্রছাত্রী অংশ নিয়েছিল। ১২০০ ওপর ভেকেন্সি তৈরি করা হয়।

অধীরাজ দত্ত সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জানিয়েছেন, তাঁদের বছরের প্রথম প্লেসমেন্ট ফেয়ার এটি। তাঁদের সব সময় লক্ষ্য থাকে যাতে ১০০ শতাংশ প্লেসমেন্ট হয়। অন্যান্য স্যাটেলাইট সেন্টারেও প্রচুর ক্যাম্পাসিং হয়। বাংলার ছেলেমেয়েরা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এটাই লক্ষ্য।

ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সুপ্ত সম্ভাবনাকে প্রকাশে সাহায্য করেন ফ্যাকাল্টিরা। হাতে ধরে শেখান। ভরসা দেন 'তুমি পারবে'।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...