পঞ্চভূতেশ্বর শিব কী?

ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম এই পাঁচ উপাদানে তৈরি জগৎ। ক্ষিতি অর্থে মাটি বা পৃথিবী, অপ্ অর্থে জল, তেজ অর্থে আগুন, মরুৎ অর্থে বায়ু এবং ব্যোম অর্থে আকাশ বোঝানো হয়। এই পাঁচটি আদি পদার্থের সমষ্টিকে পঞ্চভূত বলা হয়। হিন্দুশাস্ত্র মতে জাগতিক সব কিছুই এই পঞ্চভূত দিয়ে সৃষ্টি। আদিদেব অর্থাৎ মহাদেব এই আদি পঞ্চভূতের অধীশ্বর। পঞ্চভূতের প্রত্যেকটির একজন করে অধীশ্বর আছে। তাঁদের বলা হয় পঞ্চভূত লিঙ্গম।

IMG-20230725-WA0013

দেশের যে পাঁচটি স্থলে পঞ্চভূত লিঙ্গম অবস্থিত সেই স্থলগুলিকে বলা হয় ‘পঞ্চভূত স্থলম’। পঞ্চভূত স্থলমের চারটি স্থল তামিলনাড়ুতে এবং বাকি একটি অন্ধপ্রদেশে অবস্থিত।

তামিলনাড়ুর পঞ্চভূতস্থলগুলি যথাক্রমে কাঞ্চীপুরম, থিরভনাইকাভাল, থিরভনমাল্লাই এবং চিদাম্বরম। অন্ধপ্রদেশের পঞ্চভূতস্থলটি শ্রীকালহস্তী। পঞ্চভূতের পবিত্রতা ও শুদ্ধতা রক্ষার্থে এই পাঁচ মন্দির গড়ে উঠেছে। রক্ষক স্বয়ং ভোলা মহেশ্বর। পঞ্চভূতের রক্ষ হিসেবে ভক্তদের কাছে পাঁচ নামে তিনি পরিচিত।

কাঞ্চীপুরমে তিনি ক্ষিতি লিঙ্গ একাম্বরেশ্বর। থিরভনাইকাভালে অপ বা জল লিঙ্গ জম্বুকেশ্বর। থিরভনমাল্লাইয়ে তেজ লিঙ্গ অরুণাচলেশ্বর এবং চিদাম্বরমে ব্যোম লিঙ্গ থিল্লাই নটরাজন। অন্ধপ্রদেশের শ্রীকালহস্তীতে বায়ু লিঙ্গ শীকালাহস্তীশ্বর।

প্রতিটি পঞ্চভূতস্থলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে লৌকিক অলৌকিক এবং পুরাণ কাহিনি ও ইতিহাস। বছরের বিভিন্ন সময়ে শিব-উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্ত সমাবেশ ঘটে এই সমস্ত শৈবতীর্থে। বিদেশ থেকেও আসেন পর্যটকরা। কেউ দেবদর্শন কেউ বিশ্বভ্রমণের তাগিদে। এই পাঁচ মন্দির শিল্পশৈলী ও স্থাপত্যেও অনন্য।

পঞ্চভূতস্থলের মাহাত্ম্য জানতে চোখ রাখুন আগামী প্রতিবেদনে

  • ট্যাগ

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...