সহজ পোষ্য মাছ

বাড়িতে পোষ্য রাখতে তো সবাই চান। সারাদিনের পরিশ্রমের পর যখন বাড়ি ফিরে দেখা যায় সেই ছোট্ট ছানাটি দরজার শব্দ পেয়েই ছুটতে ছুটতে আসে তখন মনে হয় সারাদিনের সমস্ত ক্লান্তি ধুয়ে মুছে গেলো। কিন্তু সবসময় মার্জার বা সারমেয়কে বাড়িতে পোষ্য হিসেবে রাখাটা একটু অসুবিধার হয়ে যায়। অনেক সময়েই বাবা-মা রাজি হননা বাড়িতে পোষ্য রাখতে। এক একটি পোষ্য রাখতে গেলে এক এক রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। কুকুর বা বিড়াল রাখলে ঘরের সর্বত্র খুঁজে পাওয়া যায় তার লোম আর পাখি রাখলে সারাদিনের কিচকিচানি। সবথেকে ভালো একটি পোষ্য হল মাছ। অ্যাকোয়ারিয়ামের জলে দিব্বি ঘুরঘুর করে। আপনার সময়ও কেটে যাবে আর পোষ্যের পিছনে হাড়ভাঙ্গা খাটুনিও খাটতে হবে না।

জীবনে প্রথমবার মাছ পুষতে ইচ্ছুক কিন্তু বুঝতে পারছেন না কোন মাছ পোষা সবথেকে সহজ তাহলে চলুন সহজে পোষা যায় এমন কিছু মাছ সম্পর্কে সংক্ষেপে জানা যাক। মাছ পোষার কথা বললেই প্রথমেই মাথায় আসে মলি মাছের কথা। খানিক পুঁটি মাছের মতো দেখতে মাছগুলির বিশেষ যত্নের প্রয়োজন পড়ে না। প্রতিদিন স্বল্প খাবার এবং মাসে একবার ওদের বাসস্থানের জল পরিষ্কার করলেই দিব্বি বেঁচে থাকে এরা। এরপরই যে মাছটার কথা মাথায় আসে তা হলো গাপ্পি। সকলেই জানি পরিবেশ থেকে মশা দূর করার জন্য নর্দমার জলে ছাড়া হয় গাপ্পি, তেলাপিয়া প্রভৃতি মাছ। নর্দমায় ছাড়া হয় বলে নাক সিঁটকোচ্ছেন? কিন্তু জানেন কত সুন্দর সুন্দর দেখতে গাপ্পি মাছ রয়েছে যা আপনার সাধের অ্যাকোরিয়ামের শোভা বাড়াতে অনেকগুন বেশি সাহায্য করে। এরাও বেশি যত্নের দাবি জানায় না। সামান্য খারাপ ও পরিমিত যত্নই এদের জীবনের চাবিকাঠি হয়ে যায়।

 মাছ পোষা শুরু করলে প্রথমেই সবাই যে ভুলটা করে তা হলো গ্লোব টাইপের অ্যাকোয়ারিয়ামে মাছ রাখতে চায়। কিন্তু এই গ্লোব টাইপের পাত্রে মাছ রাখা একদমই উচিত নয়। কারণ গ্লোবের মধ্যে মাছ রাখার অর্থ একটি বাথটবে নিজের বর্জ্যসহ কাউকে আটকে রাখা। পোষ্য মাছকে সুস্থ রাখতে জলের গুণমান সঠিক রাখা অবশ্যই উচিত। পাত্রে মাছ রাখার ফলে তারা সাঁতার কাটার জন্য যথাযথ জায়গা পায় না। এছাড়াও এই পাত্রগুলিতে সাধারণত হিটার বা ফিল্টার লাগানো যায় না। তাই মাছ পোষার শুভারম্ভ একটি অ্যাকোয়ারিয়াম কেনার সাথেই করা উচিত। সাইজে ছোট হলেও অসুবিধা নেই। এইসব মাছ বিনা বাধায় এই জায়গায় বসবাস করতে পারবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...