জন্মাষ্টমীতেই সামনে এল ‘'দশম অবতার'-এর ঝলক। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পুজোর ছবির পোস্টার আর ফার্স্ট লুক। পোস্টারের প্রধান প্রধান চরিত্রদের ঝলকের সঙ্গে আছে দশম অবতারের ছবি।
এই ছবি দিয়েই বারো বছর পর পর্দায় ফিরছে '২২ শ্রাবণ'-এর প্রবীর রায়চৌধুরী। আছেন 'ভিঞ্চি দা'-র বিজয় পোদ্দার। দুই হেভিওয়েট চরিত্রকে এক ছবিতে এনেছেন সৃজিত। কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলেই হয়েছে ছবির শ্যুটিং। শ্যুটিং-এর কাছ শেষ।
সৃজিতের ‘কপ ইউনিভার্স’-এর ‘পাজল’ পোস্টারে প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ, যীশু জয়ার খন্ড চিত্রের মধ্যে কোলাজের মতো মিলেমিশে আছে বিষ্ণুর দশ অবতার তথা মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ, বুদ্ধ্, কল্কির চিহ্ন। শ্রী রামের তির ধনুক, মৎস অবতারের মাছ, নরসিংহ অবতারের সিংহমানব, পরশুরামের কুঠার, গৌতম বুদ্ধের জপমন্ত্র, সাদাঘোড়ায় যোদ্ধা বেশে কল্কি, বনসাই প্রতীকে বামনদেব, বুনো দাঁতে বরাহ, কচ্ছপে কূর্ম, আর কৃষ্ণের চিহ্ন শিখিপাখা।
বিষ্ণু মাছরূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ হন। কচ্ছপ রূপে সত্যযুগে আসেন। বন্য শূকর রূপে সত্যযুগে রূপ নেন। অর্ধনরসিংহরূপে সত্যযুগে অবতীর্ণ হন। ত্রেতাযুগে তিনি খর্বকায় বামন বীর। পরশু অর্থাৎ কুঠারধারী রামের রূপে ত্রেতাযুগে জন্ম নেন। অযোধ্যার যুবরাজ ও রাজা রূপে ত্রেতাযুগে তিনি রাম। দ্বাপরযুগে জ্যেষ্ঠভ্রাতা বলরামের সঙ্গে আসেন। কলিযুগে বিষ্ণুর নবম অবতার কল্কি দেব। কলিযুগের শেষ পর্বে তিনি কল্কিদেব রূপে অবতীর্ণ হবেন বলে মনে করা হয়। নেপথ্যে শোনা গেল ওম ধ্বনি।
ছবির মুখ্যভূমিকায় থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য্য, যিশু সেনগুপ্ত, জয়া আহসান। চার অভিনেতার লুকেই চমক এনেছেন সৃজিত। আলো আঁধারির মধ্যে চুরুট হাতে বসে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি-গোঁফ আর স্যুট পরনে। ক্ষুরধার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে অনির্বাণ। অবিন্যস্ত চুল, গোঁফ আর মোটা চশমায় যীশু। কপ ইউনিভার্স-এ মহিলা পুলিশ জয়া, স্ট্রেট হেয়ার আর মেরুন জ্যাকেটে নজর কাড়ছেন। এই ছবির গানের সঙ্গীতের দায়িত্বে অনুপম রায়, রূপম ইসলাম এবং ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত। দশম অবতার প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে জিও স্টুডিও এবং এসভিএফ।
দশম অবতারের ফার্স্ট লুক শেয়ার করে সৃজিত লেখেন- ‘আসছি আমরা এই পুজোতে’।