দক্ষিণ কলকাতার এক তিনতলা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড! রাস্তায় বেআইনি ট্যাক্সি রাখায় বিপাকের সম্মুখীন হয় দমকলকর্মীরা

গত রবিবার কলকাতায় মাধ্যরাতে আবারও ঘটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। দক্ষিণ কলকাতার লেক অ্যাভিনিউয়ের একটি তিনতলা বাড়ির নীচে লেগেছিল আগুন। রাত ১টায় ঘটে এই ঘটনাটি। বাড়ির সকল বাসিন্দা আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন এদিন। সেই জায়গায় তুলোর গুদাম থাকায় নিমেষের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের এক রেস্তরাঁয়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ অনেকক্ষণ ভুগতে হয় দমকল বাহিনীদেরও।

তবে এদিন এই ঘটনার সাথে আরও এক ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় দমকলকর্মীদের। প্রথমে সেই রাস্তায় সারি সারি ট্যাক্সি রাখার জেরে ঘটনাস্থলে দমকলের গাড়ি ঢুকতেই পারেনি। ফলে, বিরাট এক সমস্যা তৈরি হয়। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ জানিয়েছেন কিন্তু কোনওভাবেই ওই এলাকায় রাতের বেআইনি পার্কিং বন্ধ করা যায়নি।

তবে, এদিন শেষ পর্যন্ত বেআইনি পার্কিং সরিয়ে দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকলকর্মীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে এদিন রাতে লেক অ্যাভিনিউয়ের একটি তিনতলা বাড়ির নীচের তলা থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখা যায়। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। দমকলের দাবি, দেখা যায়, ৪৮ নম্বর সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের ঘটনাস্থল আসলে একটি বাড়ির গ্যারাজ। কিন্তু সেখানে তুলো রাখা। তাতেই আগুন ধরে প্রথমে। পরে তা পাশের রেস্তরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার চেয়েও সমস্যা তৈরি হয় রাস্তার দু’ধারে পর পর গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকায়। তবে, আগুন কিভাবে লাগলো সেই কারণ জানা যায়নি।

কিন্তু রাতে এমন বেআইনি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানা গিয়েছে যে কিছুদিন আগে মোবাইল অ্যাপের ঘোষণা করেছিল পুরসভা। সেখানে বলা হয়েছিল যে রাস্তায় ঘুরে পুরকর্মীরা যদি দেখেন বেআইনি পার্কিং করা রয়েছে, তা হলে ওই অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের নম্বরে জরিমানার বার্তা পাঠানো হবে। এরপর সেই জরিমানা দ্রুত না মেটালে সমস্যায় পড়তে পারে তাঁরা।

কিন্তু এই এতকিছু ব্যাপার ঘোষণা করা হলেও সেই অ্যাপ আজও চালু করা হয়নি। এই বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুর আধিকারিক জানিয়েছেন যে এই অ্যাপের কাজ দ্রুত চালু হবে এবং পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই সেই কাজ হবে।

অন্যদিকে, ঘটনাস্থলে থাকা এক স্থানীয় বাসিন্দা অভিষেক রায় নামে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন যে এদিন এমন অবস্থা হয় যে দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর কোনও কাজ শুরুই করতে পারছিল না। এই এলাকায় বাড়ির সামনে স্থানীয়েরা কিছু গাড়ি রাখলেও বাইরের অনেকে এখানে ট্যাক্সি রেখে চলে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস বসু সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করে প্রশ্ন করেন যে এই ভাবে কোনও বসতবাড়ির নীচে তুলো রেখে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হয় কী করে? তাঁর মতে এর জেরে যেকোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। তবে, এই বিষয়ে ওই বাড়ির মালিকের তরফে কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...