ডিজিটাল হচ্ছে দুনিয়া তাই রেশন কার্ড ডিজিটাল হওয়ার পরে ডিজিটাল হওয়ার পালা এবার পালা ভোটার কার্ডের| নতুন বছরে যারা ভোটার কার্ড হাতে পাবেন তারা সকলেই ডিজিটাল ভোটার কার্ড পাবেন| জানা গেছে, ভারতীয় নির্বাচন কমিশন খুব শীঘ্রই নতুন ভোটারদের হাতে তুলে দিতে চলেছে এই রঙিন ভোটার কার্ড|জানা গেছে, বঙ্গে প্রথমবার চালু হতে চলেছে এই ধরনের কার্ড| এই কার্ডটি তৈরী হচ্ছে পলিভিনাইল ক্লোরাইড দিয়ে| এছাড়া প্রতি কার্ডের একটি করে নিজস্ব সংখ্যা থাকবে যা বারকোড স্ক্যান করলেই জনসমক্ষে আসবে| বাকিসময় এই দশ সংখ্যার কোডটি অদৃশ্য থাকবে|
ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ থেকেই ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ভোটার কার্ডের ভুল সংশোধন শুরু হয়েছে যা চলবে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত| এরপর ৭ ফেব্রুয়ারী কমিশনের তরফ থেকে প্রথম ড্রাফট ভোটার লিস্ট প্রকাশ করা হবে| এদের মধ্যে যারা এইবছর ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছেন তাদেরকে এই নতুন ভোটার কার্ড দেওয়া হবে, জানিয়েছেন কমিশনের এক কর্মকর্তা| বাকিদের জন্য আগে সাদাকালো ভোটার কার্ডই বৈধ থাকবে| পুরনো কার্ড বদলে নতুন কার্ড বানাতে গেলে কি করণীয়? এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনের এক কর্তাব্যক্তি জানান, নতুন ভোটার কার্ড পেতে গেলে খরচ করতে হবে মাত্র ২৫ টাকা| জানা গেছে, সমস্ত জেলায় ভোটার কার্ডের পরিবর্তন আনার জন্য পরিকাঠামো আরও উন্নত করার প্রয়োজন রয়েছে| সেই কারণে প্রথমে শুধু নতুন ভোটারদের জন্যই নতুন ভোটার কার্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নেন নির্বাচন কমিশন| কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একবার সফলভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তবেই পুরনো ভোটারদের নতুন কার্ড দেওয়ার কথা ভাবা হবে|
কী কী বৈশিষ্ট থাকছে নতুন ভোটার কার্ডে? প্রথমত, পুরনো কার্ডের ১৬ সংখ্যার কার্ডের নম্বর বদলে ১০ সংখ্যার ডিজিটাইজড নম্বর হয়ে যাচ্ছে| দ্বিতীয়ত, আগের কার্ডগুলিতে সত্যতা প্রমানের হলো ছিল একটি হলোগ্রাফিক সাইন যা ডিজিটালের ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে অদৃশ্য এক নম্বরে যা লুকানো থাকছে এমন এক বারকোডের নিচে যা শুধুমাত্র কমিশনের অধিকারিকরাই দেখতে পাবেন| এছাড়া আগের কার্ডের মতো নিজের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, বয়স, ঠিকানা সমস্তটাই আগের মতোই থাকছে| ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র, গুজরাট, বিহার, উড়িষ্যা ও অসমের মতো অঞ্চলে চালু হয়ে গেছে এই নতুন ভোটার কার্ডের ব্যবহার| যত দ্রুত সম্ভব পশ্চিমবঙ্গেও এই নতুন কার্ড চালুর কথা ভাবা হচ্ছে|