স্ট্রেস থেকে কী কী নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হয়

প্রতিদিনের স্ট্রেসের প্রভাবে মাইগ্রেন, টেনিস এলবোর মতো একাধিক নিউরোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। কীভাবে সাবধান হবেন, এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন আনন্দলোক হাসপাতালের বিশিষ্ট নিউরোলোজিস্ট ডাঃ সুধীর কুমার।

ডাঃ সুধীর কুমার জানিয়েছেন, সব থেকে কমন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা মাথা যন্ত্রণা। একাধিক কারণে তা হতে পারে। ব্রেন টিউমার, ব্রেন ইনফেকশন, সিস্ট হলেও মাথা যন্ত্রণা হয়।  মেরুদন্ডের ব্যথা হয় স্নায়ু থেকে। স্পন্ডেলাইসিস, ফ্রোজেন সোলডার, টেনিস এলবো, কোমরে ব্যথা এখন চেনা স্নায়ুবিক রোগ। এখন জীবন যাত্রার কারণে বেশিরভাগ মানুষই ব্যাকপেনে ভোগে। হাঁটুর সমস্যায় প্রথমে জয়েন্ট পেইন হয় তারপর আসে স্নায়ুর সমস্যা।  এরকম প্রায় সব যন্ত্রণার উৎস নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার।

প্রথমেই শুরু হয় মাথা যন্ত্রণা। সেটি ব্রেনের সঙ্গে যুক্ত। তারপর ঘুম না হওয়ার সমস্যা।  ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, পারকিনসন ডিজিজ, ডিমোনেশিয়া, ভার্টিগো, স্ট্রোক হয়ে থাকে। ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিতে পায়ের তলা জ্বালা করে এইধরনের সমস্যা দেখা দিলে আসতে হবে নিউরোলজিস্টের কাছে।

মস্তিষ্ক সংক্রান্ত সমস্যায় নিশ্চিত হওয়ার জন্য চিকিৎসক তিন ধরনের টেস্টের নির্দেশ দিয়ে থাকেন। সিটিস্ক্যান, এমআরআই, এএইচই।

নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় শুধু ওষুধ, ইনজেকশন দিলে কাজ হয় না। থেরাপির দরকার হয় ল। দু'ধরনের থেরাপি আছে। ফিজিওথেরাপি আর নিউরোথেরাপি। প্রথমে টেস্ট, তারপর ওষুধ তারপর থেরাপি এই তিন ভাগে নিউরো সমস্যার নিরাময় করা হয়। তারপরও যদি সমস্যা থেকে যায় তখন দরকার হয় নিউরো সার্জেনের কাছে যাওয়ার। সার্জারি একেবারেই শেষ উপায়।

নিউরোলজিক্যাল সমস্যার কিন্তু প্রতিরোধ সম্ভব। তারপর জন্য জীবনযাত্রা ঠিক করতে হবে। মোবাইল, কম্পিউটার এখন এই ধরনের ব্যাধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।  ডিভাইসের নিয়ন্ত্রত ব্যবহার জরুরি। বসা, শোয়ার অভ্যাসও ব্যথার কারণ হয়ে ওঠে অনেক সময়। জাঙ্ক ফুডও কারণ।

আনন্দলোক হাসপাতালের তিনটি শাখায় নিউরোলজি বিভাগে সুচিকিৎসার সুযোগ আছে। সুলভে সিটি স্ক্যান, স্নায়ু সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা আছে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...