বিএসএস-কে হারিয়ে পুরোনো ছন্দে ইস্টবেঙ্গল

ইস্টবেঙ্গল (হাইমে কোলাডো, বিদ্যাসাগর সিং)

বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাব (উইলিয়াম ওপোকুপেনাল্টি)

ডুরান্ড কাপে দুর্ধর্ষ লড়াইয়ের পরেও সেমিফাইনালে হারটা মেনে নিতে পারেনি অধিকাংশ লাল-হলুদ সমর্থকেরা। আর তাই খেলোয়াড় থেকে টিম ম্যানেজমেন্টসকলের ফোকাস ছিল কলকাতা লিগে ভালো ফল করতে। প্রথম ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফ এর কাছে শেষ মুহুর্তে গোলে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অবশেষে জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। রবিবার তুমুল বৃষ্টিতে বিএসএস স্পোর্টিং ক্লাবকে - গোলে হারিয়ে প্রথম পয়েন্ট তুলল ইস্টবেঙ্গল।

প্রচন্ড বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু কিছুটা পিছিয়ে যায়। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৩৫ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। কর্দমাক্ত মাঠে প্রথমবারের জন্য ইস্টবেঙ্গল জার্সি পড়ে মাঠে খেলতে নামেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার মার্কোস এস্পাদা। শুরুর দিকে ইস্টবেঙ্গল যথারীতি আক্রমণ শুরু করছিল, কিন্তু মাঠে কাদা থাকায় বারংবার বল তুলে পাস বাড়াতে হচ্ছিল দুই দলকেই। আর তারই মধ্যে ১৭ মিনিটে গোল পায় ইস্টবেঙ্গল। ডানদিক থেকে ব্র্যান্ডনের ক্রসে গোল করেন কোলাডো। আর তারপরই চেপে ধরে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সাইড বেঞ্চ থেকে ইস্টবেঙ্গল এর কোচ আলেজান্দ্রো গার্সিয়া বারবার খেলোয়াড়দের অনুপ্রাণিত করছিলেন, আর গ্যালারি থেকে দ্বাদশ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনই অসংখ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। প্রথমার্ধ শেষ অবধি বেশ কয়েকবার ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে ওঠে, কিন্তু বিএসএস এর গোলকিপার সন্দীপ থাকায় আর গোল করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে একইরকম আক্রমণাত্মক মেজাজ নিয়ে শুরু করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ৫২ মিনিটে আবারও গোল পায় তারা। তরুণ স্ট্রাইকার বিদ্যাসাগর সিং এর ডান পায়ের শটে - এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এরপর ইস্টবেঙ্গলই একতরফা আক্রমণ করে গেলেও ম্যাচের একেবারে শেষদিকে পেনাল্টি পায় বিএসএস। সেখান থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি বিদেশি স্ট্রাইকার উইলিয়াম ওপোকু। শেষ পর্যন্ত - ফলে ম্যাচ জেতে তারা।

তবে পয়েন্ট ঘরে তুললেও লাল-হলুদ টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা থেকে যাবে স্টপার মেহতাব সিং এর চোট। আগামি ২৮ আগস্ট এরিয়ান এর বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে মেহতাবকে পেতে নিশ্চই চাইবেন কোচ আলেজান্দ্রো।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...