এবার পশ্চিমবঙ্গে উড়ল ‘চন্দ্রযান’! হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। দুর্গাপুরের গোপালমাঠের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ ওরফে মনু এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়েছেন।
১৪ জুলাই ইসরো শ্রীহরি কোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে তৃতীয়বারের জন্য ‘চন্দ্রযান’ উৎক্ষেপণ করে। উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-৩।
দুর্গাপুরের বাসিন্দা ছোটন ঘোষ আর তাঁর বন্ধুরা এই চন্দ্রযান-৩ কে সম্মান জানানোর জন্যই এই চন্দ্রযান-৩ ক্লোন তৈরি করেন এবং আকাশে উড়িয়েও দেখান।
ছোটন ঘোষ পেশায় ডেকোরেটর এবং ফুল ব্যবসায়ী। তবে, মেকানিকগিরির অভ্যেস ছিল দীর্ঘদিনের। ছোট থেকেই বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে গবেষণা করতে ভালোবাসেন। আগেও আশ্চর্য সব জিনিসপত্র তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন। তিনি অনেকবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন নতুন জিনিস তৈরি করার জন্য। কিছুদিন আগেই তৈরি করেছিলেন ১০ সিটের একটি ইলেকট্রিক মোটরবাইক।
চন্দ্রযান-৩ ক্লোন তৈরি করার জন্য তাঁরা ব্যবহার করেছিলেন থার্মকল, রড, প্লাইউডের মতো উপাদান। এই চন্দ্রযান-৩ ক্লোন আকাশে ওড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় গ্যাস এবং ফায়ার সিস্টেম। রকেট ওড়াতে ব্যবহার করা হয়েছিল রিমোট কন্ট্রোল। নিজের মোবাইল ফোনের সঙ্গে সেই রিমোট সিস্টেম জুড়ে নিয়েছিলেন ছোটন ঘোষ। তাঁদের দাবী, ওই রকেট আকাশে ৩০ ফুটেরও বেশি উড়তে পারে।
চন্দ্রযান-৩ ক্লোন উৎক্ষেপণ দেখতে ভিড় করেছিলেন উৎসাহী মানুষ। তাদের কাজ দেখে সাধুবাদ জানিয়েছেন গোটা দুর্গাপুরের বাসিন্দারা।