ডেঙ্গু ও ভাইরাল জ্বরে কীভাবে সাবধান হবেন, জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জীব কুমার

ডেঙ্গু না ভাইরাল ফিভার হয়েছে, কীভাবে বুঝবেন? ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে কীভাবে সাবধানতা নেওয়া উচিত? বর্ষায় সর্দি কাশি এড়াতে কী করা উচিত?বিস্তারিত জানালেন আনন্দলোক হসপিটালের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সঞ্জীব কুমার (Dr. Sanjeev Kumar, General Physician)

ডাঃ সঞ্জীব কুমার জানিয়েছেন, এবছর ভাইরাল ফিভার, ডেঙ্গুর সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস বেশি দেখা গিয়েছিল মানুষের মধ্যে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় ডেঙ্গু এবার একটু কম।

ডেঙ্গুর সবচেয়ে চেনা লক্ষণ উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর, তার সঙ্গে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা। এই রকম উপসর্গ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। ডেঙ্গু সব সময় মারাত্মক হয় না, কিন্তু এই জ্বরের লক্ষণকে যদি গুরুত্ব দিয়ে না দেখা হয় তাহলেই জটিলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা যায়। প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা যায়। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করতে হবে।

জ্বর হলে তা ডেঙ্গু না ভাইরাল বুঝতে হবে। দু'ধরনের জ্বরের লক্ষণ প্রায় এক। অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরকে ভাইরাল মনে করে সঠিক গুরুত্ব না দেওয়ায় প্লেটলেট কমে যায়। ভাইরাল জ্বরের ক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রা, গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ ৪৮ ঘন্টার মতো স্থায়ী হয়, তারপর আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। কিন্তু এই সময় সীমা কেটে যাওয়ার পরেও যদি জ্বর থাকে তাহলে বুঝতে হবে তা ভাইরাল ফিভার নয়, অন্য কিছু।  

জলীয় পদার্থ বেশি খেতে হবে। প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। ভাইরাল ফিভার মোটামুটি তিনদিন পর কমতে শুরু করে। অনেকসময় অবশ্য এই ধরনের জ্বর থেকেও শরীরে জটিলতা দেখা যায়। শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা হতে পারে। তেলমশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। স্যালাড, ফল, শাকসবজি খেতে হবে।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...