কদিন আগেই প্রকাশিত হয়েছে সর্বভারতীয় নিট পরিক্ষা অর্থাৎ ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল। দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করার পর চিকিৎসকের পেশায় যাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম ধাপ হল নিট প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করা। আর এবারে জয় হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার এক পড়ুয়ার।
মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগর অঞ্চলের সাবির উদ্দিন শেখ এবারের নিট পরীক্ষায় ৬১১ নম্বর পেয়েছেন। তার এই পরিক্ষার সাফল্যে দেখে খুশি তার গোটা পরিবার এবং গ্রামবাসী । তার বাবা পেশায় একজন কৃষক, চাষ করার পাশাপাশি অন্য কাজও করেন এবং মা বিড়ি শ্রমিক, বিড়ি বাঁধেন এবং এইভাবেই তাঁদের কোনওরকমে সংসার চলে ।
ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছিলেন সাবির উদ্দিন। বড় হয়ে চিকিৎসক হয়ে গ্রামবাংলার দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা করবেন, এটাই ছিল তাঁর স্বপ্ন, তাই লক্ষে পৌঁছাতে নিট পরিক্ষায় অভাবনীয় ফল করলেন সাবির উদ্দিন।
তিনি জানিয়েছেন তার সাফল্যের পেছনে বাবা-মায়ের অবদান অনেকটাই। ছোটবেলা থেকে অভাব অনাটনের মধ্যে দিয়ে গেলেও পড়াশোনা শিখিয়ে গেছেন তাঁর মা-বাবা। সবসময় তার পাশে থেকেছেন তারা। সাবির উদ্দিনের এই সাফল্য খুশির জোয়ার এনেছে এলাকাজুড়ে।
শুধু এবার নয়, এর আগেও সামশেরগঞ্জের বিড়ি শ্রমিক পরিবারের পড়ুয়া ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষাতে সাফল্য পেয়েছিল।